BED College: পরীক্ষায় বাড়তি সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলা, তারপরও মেলেনি, প্রতিবাদে বিএড কলেজে বিক্ষোভ

BED College: সুযোগ না পাওয়ার পর টাকা চাইতে গেলে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় কলেজ থেকে। এবার সেই অভিযোগ তুলে পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করলেন ছাত্রছাত্রীরা।

BED College: পরীক্ষায় বাড়তি সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলা, তারপরও মেলেনি, প্রতিবাদে বিএড কলেজে বিক্ষোভ
বিএড কলেজে বিক্ষোভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 9:00 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: পরীক্ষায় বিশেষ সুযোগ পাইয়ে দেওয়া-সহ একাধিক ইস্যুতে ছাত্রছাত্রীদের কাছে নেওয়া হয়েছে বাড়তি টাকা। কিন্তু তারপরও পরীক্ষায় মেলেনি কোনও সুযোগই। সুযোগ না পাওয়ার পর টাকা চাইতে গেলে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় কলেজ থেকে। এবার সেই অভিযোগ তুলে পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করলেন ছাত্রছাত্রীরা। বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তেমাথানি এলাকার এ এন এম (বিএড) কলেজে।

বিএড কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য অনুযায়ী,  বেসিক পরীক্ষায় হল ম্যানেজ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তেমাথানি এলাকার এ এন এম (বিএড) কলেজ কর্তপক্ষ একাধিক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।   অভিযোগ, বাড়তি সুযোগ দেওয়ার নাম করে টাকা নিলেও পরীক্ষার দিন কোনরকম সুযোগ-সুবিধা মেলেনি তাঁদের। এরপরই  কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হন  ছাত্রছাত্রীরা।

অভিভাবকদের অভিযোগ, এএনএম কলেজের ডিরেক্টর সামসুর মির্জা-সহ ওই কলেজের অন্যান্য কর্মীরা ছেলেমেয়েদের ভুল বুঝিয়ে পরীক্ষায় হল ম্যানেজ-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা করে দেবে বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা করে বাড়তি নিয়েছেন।  কিন্তু পরীক্ষার দিন কোনওরকম সহযোগিতা সেই কলেজের তরফ থেকে না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা ।

এরপর বিষয়টি অভিভাবকরা জানতে পারলে, তাঁরা একত্রিত হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।  ওই কলেজের ডাইরেক্টর সামসুর মির্জা বলেন,  “যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীদের সেইভাবে সহযোগিতা করা যায়নি, তাই পরীক্ষার শেষ দিন অর্থাৎ বুধবার প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।” বুধবার কলেজে টাকা ফেরত চাইতে যান অভিভাবকরা। কিন্তু টাকা না মেলায় ধুন্ধুমারকাণ্ড বেঁধে যায়।

অভিভাবকদের দাবি. “আমরা যখন একত্রিত হয়ে টাকা চাইতে যাই, তখন সামসুর মির্জা-সহ ওই কলেজের অন্যান্য কর্মীরা তাদের তেড়ে মারতে যান এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন, এমনকি কয়েকজন অভিভাবকের গলা চেপে ধরে মারতে উদ্যত হন।” এই ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা। ঘটনার পরেই তেমাথানি মুণ্ডমারী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য আচরণ ও টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় সবং থানার পুলিশ। পুলিশকর্তারা  অভিভাবক এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনা সমন্ধে জানার চেষ্টা করেন। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে কলেজ কর্তপক্ষ। ডাইরেক্টর বলেন, “এই ৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন ওঁরা, সেটা কিছু নয়। আমরা ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছি, পরীক্ষা বাবদ। ওরা বলছে আমাদের সুবিধা দেওয়া হয়নি। এই আশ্বাস কি আমরা কখনও দিতে পারি? আগে পরীক্ষা হোম সেন্টারে হত। এখন ওখানে ছাত্রছাত্রীরা বাইরের সেন্টারে সুযোগ পাননি। ফলে তাতেই সমস্যা।” শিক্ষা, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি, বিএড কলেজগুলির ক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলের ভূমিকা এই সবই এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আতস কাচের নীচে। তারই মধ্যে এই বিএড কলেজের ঘটনা রীতিমতো অবাক করার মতো।