BJP-CPM: দলীয় নেতৃত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমবায় নির্বাচনে ফের ‘রাম-বাম’ জোট
BJP-CPM: রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ ব্লকের পার্বতীপুর রবিদাসপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ছিল রবিবার। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় নির্বাচন। মোট ৪৮ জন প্রার্থী নিয়ে চলছে ভোটগ্রহণ। তবে নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল যেখানে ৪৮ জন প্রার্থী দিলেও 'সমবায় বাঁচাও মঞ্চ' সেখানে ৪১টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছেন।
দাসপুর: খোদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু কড়া বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, নিচুতলার নির্বাচনগুলিতে রাম-বাম জোট তাঁরা সমর্থন করেন না। কিন্তু সেই নির্দেশিকা যে মানা হচ্ছে না তা আরও একবার প্রমাণিত। সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে জোট বাঁধল লাল শিবির।
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ ব্লকের পার্বতীপুর রবিদাসপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ছিল রবিবার। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় নির্বাচন। মোট ৪৮ জন প্রার্থী নিয়ে চলছে ভোটগ্রহণ। তবে নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল যেখানে ৪৮ জন প্রার্থী দিলেও ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ সেখানে ৪১টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছেন। আর এই ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চকেই’ ‘রাম-বাম’ জোট বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল নেতা রাজীব দাস ঠাকুর বলেন, “আমরা জয় নিয়ে আশাবাদী। এর আগে আমাদেরই বোর্ড ছিল। এইবারও সমবায় বোর্ড আমরাই গঠন করব।” অপরদিকে, সিপিএম নেতা প্রশান্ত দিন্দা বলেন, “মানুষ পরিবর্তন চাইছে। তাই এইবার সমবায় বাঁচাও মঞ্চই বোর্ড গঠন করবে।”
কয়েকমাস আগে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থেকে শুরু হয়েছিল নয়া ‘ট্রেন্ড’। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাম-বাম-কংগ্রেসের ‘রামধনু জোট’ জয় পেয়েছিল সেখানকার একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে। তারপর একাধিক স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থার নির্বাচনে এই প্রবণতা ক্রমশ স্পষ্ট হয়। যদিও, দুই শিবিরেরই বক্তব্য ছিল এটা কোনও জোট নয়, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। সেই সময় রোষানলে পড়েন জেলাস্তরে বামেদের কিছু নেতা।
এরপর সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনের পর ‘রাম-বাম-শ্যাম’ জোট নিয়ে দ্বিগুণ সোচ্চার হয় শাসক দল। তবে জোটের বিষয়টি ভাল চোখে দেখেননি উচ্চ-নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে ঠেকাতে ‘রাম-বাম’ জোটে আগ্রহী দলীয় নেতাকর্মীদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রবীণ সিপিএম নেতা বিমান বসু বলেছিলেন, “আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে আমরা রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে ঘোরাফেরা করতে পারব না। বিজেপি একটি চরম দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল দল। কোনওভাবেই তাদের সঙ্গে আঁতাত করা যাবে না। এরকম কাজ যারা করতে চায়, তারা যেন পার্টিতে না থেকে অন্য দলে চলে যায়।”
এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিভিন্ন জায়গায় ‘রাম-বাম’ জোট গঠনের চেষ্টা হতে পারে, আঁচ করেই বিমানবাবুর এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।