Suvendu Adhikari: ‘বাংলার মেয়ের রাজত্বে মরেও শান্তি নেই’, বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari on BJP Worker Mystery Death: "এখানে পোস্টমর্টেম যিনি করেছেন, তাঁর সঙ্গে নিশ্চয়ই সেটিং আছে তৃণমূলের। সেখানে নিশ্চিত ভাবে প্রশাসনের লোকেরা কথা বলে নিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এসে গিয়েছে। পিএম (পোস্ট মর্টেম) রিপোর্টে লেখা হবে, স্টমাকে মদ পাওয়া গিয়েছে। গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই''।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘বাংলার মেয়ের রাজত্বে মরেও শান্তি নেই বাংলায়’, (Paschim Medinipur) ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মী (BJP Worker) ভাস্কর বেরার মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে এসে কটাক্ষের সুরে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসাথে তিনি অভিযোগ করেন, ভুয়ো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করার জন্যই ভাস্কর বেরার দেহ নিয়ে আসা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে দুষ্কৃতীদের মারে মৃত্যু হয় ভাস্কর বেরার। বিজেপি দাবি করে মৃত ভাস্কর ছিলেন তাদের সক্রিয় কর্মী। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। কাঁথি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কেন ভূপতিনগরের বাসিন্দা ভাস্করের দেহের ময়নাতদন্ত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হচ্ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
সোমবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে জেলা বিজেপির সদর কার্যালয়ে মৃত বিজেপি কর্মীর শবদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতৃত্ব। এর পরই ময়নাতদন্তর রিপোর্ট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, চন্দন মাইতি ও ভাস্কর বেরার মৃত্যুর তদন্তভার যেন সিবিআই নেয় সে বিষয়েও সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুভেন্দুর কথায়, “মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। মৃতদেহে পচন শুরু হয়েছে। এতদূর মৃতদেহ পাঠানো হল কেন? পাঠানো হয়েছে এই কারণে, এখানে পোস্টমর্টেম যিনি করেছেন, তাঁর সঙ্গে নিশ্চয়ই সেটিং আছে তৃণমূলের। সেখানে নিশ্চিত ভাবে প্রশাসনের লোকেরা কথা বলে নিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এসে গিয়েছে। পিএম (পোস্ট মর্টেম) রিপোর্টে লেখা হবে, স্টমাকে মদ পাওয়া গিয়েছে। গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই”।
এর পর আঙুল উঁচিয়ে তিনি বলেন, “এসব লেখা হবে। এই জন্য কাঁথি থেকে এনে এসব করা হয়েছে। তার মানে পশ্চিমবঙ্গে তথাকথিত বাংলার মেয়ের রাজত্বে মরেও শান্তি নেই”।
এদিকে জনজাতীয় দিবস উপলক্ষে কেশিয়াড়ির এক জনসভায় এ নন্দীগ্রামের মামলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু বলেন, “আমি কোনও মন্তব্য করব না। আমি অনেক আগে ফাইল করেছি। বিচারব্যবস্থার উপর আমার আস্থা আছে। পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা স্বাধীনতার পরে কোনও এমপি এমএলএ-কে দিতে হয়নি। ওঁনাকে দিতে হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট সমস্ত বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার আস্থা আছে। আমি কোনওভাবে এই বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে দেব না”।
তিনি আরও বলেন, “সেনা বাহিনীতে যখন সেনার মৃত্যু কিংবা বাংলাদেশে বাঙালিদের হত্যা করা হয় তখন ওঁনার মুখ থেকে কোনও শব্দ বেরায় না। ওঁনার এই দ্বিচারিতা এবং প্রত্যেকটা জিনিস রাজনৈতিক এবং ভোটের ক্যালকুলেশনে মন্তব্য, এটা সবাই ধরে ফেলেছে”।
আরও পড়ুন: COVID Update: বাড়ল একদিনের পজিটিভিটি রেট, সক্রিয় রোগী ৮ হাজার পার