Mukul Roy: ফুলে ফুলে বিচরণ করা মুকুল আজ ‘লস্ট কেস’! কী বলছেন শাসক-বিরোধীরা
Dilip Ghosh: বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আবার মুকুল রায়কে 'লস্ট কেস' হিসেবেই দেখছেন। দিলীপের প্রশ্ন, 'আপনারা ছয় মাসের মধ্যে ওনার কোনও খবর পেয়েছেন? উনি বাংলার রাজনীতিতে খুব বড় একজন ব্যক্তিত্ব। কেন তাঁর কোনও খবর নেই?'
খড়্গপুর: সক্রিয় রাজনীতি থেকে আপাতভাবে দূরে থাকা মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লিযাত্রাকে কেন্দ্র করে শোরগোল বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে। রায়সাহেব যে দিল্লিতে যাচ্ছেন, তা জানতেনই না মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। বাবাকে খুঁজে পেতে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরিও করেছেন তিনি। এরই মধ্যে মুকুলের দলবদলের সম্ভাবনা নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। কারণ, শুভ্রাংশু দাবি করছেন তাঁর বাবাকে নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল নোংরা খেলায় নেমেছে। যদিও সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। এদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আবার মুকুল রায়কে ‘লস্ট কেস’ হিসেবেই দেখছেন।
মুকুল রায় কি আবার বিজেপিতে যাচ্ছেন? সেই নিয়ে এদিন খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘নিখোঁজ তো উনি অনেকদিন আগেই হয়ে গিয়েছেন। উনি তো একজন বিধায়ক। আপনারা ছয় মাসের মধ্যে ওনার কোনও খবর পেয়েছেন? উনি বাংলার রাজনীতিতে খুব বড় একজন ব্যক্তিত্ব। কেন তাঁর কোনও খবর নেই? আমার মনে হয় এটা লস্ট কেস। মুকুল রায়কে নিয়ে আর কেউ চিন্তা করে না। অসুস্থ ছিলেন। আমি চাইব উনি সুস্থ থাকুন।’
যদিও মুকুলের দিল্লিযাত্রার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। লিখেছেন, ‘প্রত্যাবর্তন’। বর্তমানে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়েছে, সেই আবহে এই ফেসবুক পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও অনুপম হাজরা এই পোস্টের বিষয়ে কিছু খোলসা করতে চাননি। টিভি নাইন বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে যাবে। এখন একটু অপেক্ষা করুন।’
তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল মুকুলের হঠাৎ দিল্লিযাত্রা প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে কাল তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা জানি, তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন। নিউরোলজিক্যাল ব্যাপারে ভালই অসুস্থতা ছিল। সেই জন্য চিন্তা হচ্ছিল তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে।’ যদিও শশী পাঁজা শুভ্রাংশুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এও জানান, ‘যদি রাজনৈতিক কোনও বিষয় থাকে, তাহলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছেন বলেই আমি মনে করি। তবে তাঁর স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখতে হবে।’ মন্ত্রীর কথায়, ‘তিনি (মুকুল রায়) আগাগোড়া তৃণমূল কংগ্রেস করেছেন। তিনি (বিজেপির থেকে) জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। কিন্তু তারপর তো তিনি আবার বিবেকের আওয়াজ শুনে এলেন (তৃণমূলে)।’