Netai Firing Case: নেতাই-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই কতদূর এগোল, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

Netai: অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার লালগড় থেকে দু' কিলোমিটার দূরে নেতাই গ্রাম। ২০১১ সালে সেখানেই গুলিতে ন' জনের মৃত্যু হয়।

Netai Firing Case: নেতাই-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই কতদূর এগোল, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
২০১১ সালে রাজ্য রাজনীতির পটে যে পরিবর্তনের ঝড় ওঠে তার অন্যতম পট এই নেতাই। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2021 | 5:55 PM

কলকাতা: নেতাইয়ে গুলি চালানোর মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতি ও বিচারের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআইয়ের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট। সোমবারই হাইকোর্টের তরফে এই রিপোর্ট তলব করা হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির আগে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এদিন এমনই নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার লালগড় থেকে দু’ কিলোমিটার দূরে নেতাই গ্রাম। ২০১১ সালে সেখানেই গুলিতে ন’ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় সিপিএম নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মামলা দায়ের করে।

হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়। একইসঙ্গে মৃতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে এই মামলা হয়। রাজ্য ক্ষতিপূরণও দেয়। তবে হাইকোর্টের নজরদারিতে সেই মামলা এখনও চলছে। চার্জশিট জমা পরলেও এখনও চূড়ান্ত সাজা কিছু ঘোষণা হয়নি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এই মামলা নিয়েই সিবিআই তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেন।

২০১১ সালে রাজ্য রাজনীতির পটে যে পরিবর্তনের ঝড় ওঠে তার অন্যতম পট এই নেতাই। তৃণমূলের পথচলার গুরুত্বপূর্ণ মাইল স্টোন এই গ্রাম। সে বছর জানুয়ারি মাস। আর কিছুদিন পরই বিধানসভা ভোট আসছে। সিপিএম ক্ষমতার মসনদে। তবু প্রচণ্ড পেতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূলের কাছে। নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, একের পর এক গণ আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার মমতার কন্ঠ। তাঁর অনশন-অবস্থানে একেবারে জেরবার বাম সরকার। তবু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গদি যে টলেই যাবে ভাবতে পারেননি কেউই। এসবের মধ্যেই ৭ জানুয়ারি এল ভয়ঙ্কর সেই কালো দিন। নেতাই গ্রামে চলল মুড়ি মুড়কির মতো গুলি। প্রাণ হারালেন ৯ জন গ্রামবাসী।

এরপর সে বছর ৩৪ বছরের লাল দুর্গকে ধূলোয় মিশিয়ে বাংলায় ফুটল ঘাসফুল। ২০১৩ সালে নেতাই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডির হাত থেকে নিয়ে দেওয়া হল সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাইকোর্টই সেই নির্দেশ দিল। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে ২০ জনের নামে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সেই তালিকায় এমন ১২ জন ছিলেন যাঁরা সরাসরি সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরেরই এক সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতাই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমাদের ছেলেরা বড় ভুল করে ফেলেছে আমি তা স্বীকার করছি। আমি সত্যিই তার জন্য দুঃখিত।” যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে পরে সিপিএমের অন্দরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। তবে নেতাইকাণ্ডের পর লালগড়ের লালমাটি থেকে তো বটেই, গত দশ বছরে বাংলা পরিষদীয় রাজনীতি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে লাল রং।

আরও পড়ুন: kolkata municipal corporation election 2021: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই কলকাতার পুরভোট? মঙ্গলে রিপোর্ট যাচ্ছে রাজভবনে