Chandrakona Awas Yojona: আবাসের তালিকা যাচাই-বাছাই, প্রকৃত প্রাপকের খোঁজে সভার মাঝেই চরম বিশৃঙ্খলা
Chandrakona Awas Yojona: অভিযোগ, আবাসের বাড়ি তো চুরি হয়েছেই। তাই এখন গ্রাম পঞ্চায়েত বা প্রশাসন যতই আশ্বস্ত করুক, লোকে মানবে কেন। সন্দেহ একবার মনে ঢুকলে, তা সহজে কি যায়?
পশ্চিম মেদিনীপুর: আবাসের তালিকা যাচাই-বাছাই চলছিল। প্রকৃত প্রাপকদের খোঁজ করতেই গ্রামসভা ডেকেছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় তা নিয়েই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হল। অভিযোগ, আবাসের বাড়ি তো চুরি হয়েছেই। তাই এখন গ্রাম পঞ্চায়েত বা প্রশাসন যতই আশ্বস্ত করুক, লোকে মানবে কেন। সন্দেহ একবার মনে ঢুকলে, তা সহজে কি যায়? তাই আবাস যোজনায় কারা বাড়ি পাচ্ছেন, তালিকাটা তাঁরা দেখবেনই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আবাস যোজনার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে গ্রামসভার আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, আবাস যোজনা প্রকল্পে সঠিক উপভোক্তাদের নাম যাচাই করা। নামের তালিকা সার্ভের পর গ্রাম সভায় আলোচনা করে এর পরেই পাঠানো হবে জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের কাছে এই নিয়েই এই সভার আয়োজন। কিন্তু এখানেই গোল বাধে।গ্রামবাসীরা দাবি করেন, তালিকাটা তাঁরা দেখবেন। টাকার বিনিময়ে নাম তোলা হচ্ছে, এমন অভিযোগও তোলেন কেউ কেউ। চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাঝখান থেকে সভাই পণ্ড হয়ে যায়।
গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান সঞ্জয় আধিকারিকের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের অযথা উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু কারা করছেন উত্ত্যক্ত? পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিড়ম্বনা বেড়েছে রাজ্য সরকারের। একে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির গুচ্ছগুচ্ছ অভিযোগ। তার মধ্যে আবাস যোজনায় যে হারে ‘বাড়ি চুরি’র অভিযোগ সামনে আসছে, তাতে রাজ্যের অস্বস্তিতে পড়ারই কথা। শুধু বিরোধীরা উস্কানি দিচ্ছে বললেই কি ‘চুরি’কে আড়াল করা যায়? মনোহরপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় অধিকারী বলেন, “এই গ্রাম সভার বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের কিছু কর্মী সমর্থক।তারাই উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেছে কিছু মানুষকে।কিন্তু সভার যে আলোচ্য বিষয় ছিল সেগুলি আলোচনা করার পরই সভাটা শেষ করেছি।লিস্ট টাঁঙানোর এক্তিয়ার বা নির্দেশ আমাদের নেই,সার্ভের কাজ চলছে আশা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সার্ভের রিপোর্ট দিয়েছে,বিডিও ও জেলা প্রশাসন রিপোর্ট করবেন তারপরই ফাইনাল লিস্ট হবে।আমাদের বিশ্বাস যে ফাইনাল লিস্ট হবে তা ঠিক সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সবুজ মজুমদার বলেন, “সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। জানতে চাওয়া হলে বিডিও অফিসে চলে যেতে বলা হয়। সংসদ ভিত্তিক বাড়ি বাড়ি সার্ভের লিস্ট টাঁঙাতে হবে,তালিকায় কার নাম থাকল আর থাকল না, তা এলাকার মানুষ দেখবেন।” তাঁর অভিযোগ, পয়সা নিয়ে সম্পূর্ণ ভুয়ো তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।