Paschim Medinipur Awas Yojona: সার্ভের পর ‘রিজেক্ট লিস্টে’ ঝুপড়ি ঘরের বাসিন্দারা, আবাস যোজনার তালিকাই এখন প্রশ্নের মুখে
Paschim Medinipur Awas Yojona: তালিকা থেকে নাম বাদ একচিলতে ঝিটে বেড়ার মাঠির বাড়িতে বসবাসকারী এমনই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য একাধিক ব্যক্তির নাম।
পশ্চিম মেদিনীপুর: আবাস যোজনার সার্ভের পর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে টাঙানো হয়েছে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা। অভিযোগ,সার্ভের পরও সেই তালিকা থেকে নাম বাদ একচিলতে ঝিটে বেড়ার মাঠির বাড়িতে বসবাসকারী এমনই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য একাধিক ব্যক্তির নাম। আর তাতেই ক্ষুব্ধ যোগ্য প্রাপকরা। সার্ভেতে গিয়ে খালি ফোন নম্বর নিয়ে ফিরে এসেছেন আশা – অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাকি কিছুই খোঁজ নেননি তাঁরা। অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি সার্ভে হয়েছে। অভিযোগ, সেই সার্ভে নামেই হয়েছে, আদপে তালিকা বাড়িতে বসে তৈরি করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলেছেন তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া যোগ্য ব্যক্তিরা।তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া অনেকের বাড়ি পাওয়া যোগ্য ছিল মেনেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতের খানডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সাইফুন হুসেইন মোল্লা, সাহানারা বিবি, তাঁর স্বামী কালসোনা মল্লিক,সেখ আমির আলি, এজারুল মণ্ডল, ইবাদুল্লা মল্লিক, তাঁর বাবা তাহের মল্লিক- তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবি আবাস যোজনা তালিকায় নাম ছিল বাড়ি বাড়ি সার্ভেও হয়েছে। কিন্তু সার্ভের পর পঞ্চায়েত অফিসে ‘রিজেক্ট ও অ্যাপ্রুুভ’ তালিকা টাঙানো হয়েছে শুনে তা দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের সকলের নাম রিজেক্ট লিস্টে রয়েছে। তাঁরা সকলেই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি করেছেন। কী কারণে তাঁদের নাম রিজেক্ট লিস্টে এল?
অভিযোগ,পঞ্চায়েত অফিসে কারণ জানতে গিয়ে যেসব কারণ বলা হয়েছে, তাতে তাঁরা হতবাক। তাঁদের নাকি রয়েছে দশচাকা ট্রাক, মোটর সাইকেল-সহ আরও নামী-দামী জিনিস। কিন্তু আদপে এসমস্ত কিছুই নেই রিজেক্ট লিস্টে নাম থাকা এসব ব্যক্তিদের। এদের কারও ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি আবার কারও ছোট্ট একচিলতে ঝিটে বেড়ার মাটির বাড়ি. আবার কারও ত্রিপল টাঙানো, ভাঙাচোরা বাড়ি। তাতেই কোনওরকমে বসবাস। দাবিদাররা জানাচ্ছেন, তাঁদের কেউ মাছ বিক্রি করেন, আবার কেউ দিনমজুর আবার কেউ নির্মাণ শ্রমিক, প্রত্যেকেই কষ্টে সংসার চালান। সমস্ত পরিবারের নাম আবাস যোজনা তালিকায় থাকা সত্ত্বেও সার্ভের পর তাঁদের নাম বর্তমানে রিজেক্ট তালিকায়।
যাঁদের একতলা, দোতলা পাকা বাড়ি গাড়ি রয়েছে, তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি।আবাস যোজনার সার্ভে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী থেকে তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া যোগ্য ব্যক্তিরা। এবিষয়ে ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইসমাইল খাঁন জানান, তাঁর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ৩,৬০০ টি আবাস যোজনা তালিকার নাম ছিল। সার্ভের পর ফাইনাল লিস্ট টাঙানো হয়েছে। তাতে প্রায় ৮০০ জনের নাম রিজেক্ট লিস্টে রয়েছে। রিজেক্ট লিস্টে নাম রয়েছে এমন অনেক ব্যক্তির নাম রয়েছে যাদের বাড়ি পাওয়া যোগ্য তারা বাড়ি পেলে ভালো হত বলে তিনি জানান।
প্রধান এও বলেন, “পঞ্চায়েত অফিসে লিস্ট টাঙানোর পর বহু মানুষ এসে জানতে চেয়েছেন কেনো তাঁদের নাম রিজেক্ট লিস্টে। ব্লক প্রশাসনের নির্দেশ মতো তাঁদের জানানো হয়েছে লিস্ট টাঙানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা যেন নাম আইডি দিয়ে পুনরায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন।” কিন্তু এসব নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সার্ভের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী।