Road Contsruction: রাস্তা তৈরির কাজ মাঝপথে বন্ধে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা, টাকা তছরূপের অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

এনআরইজি প্রকল্পের অধীনে ঢালাই রাস্তা তৈরির কাজ হবে বলে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে লাগানো হয়েছিল বোর্ড। সেই বোর্ডে লেখা ছিল, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কাজের জন্য ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৪১ টাকা এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে। আর সেই রাস্তার কাজেই প্রশাসনের চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠল।

Road Contsruction: রাস্তা তৈরির কাজ মাঝপথে বন্ধে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা, টাকা তছরূপের অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2023 | 9:42 AM

চন্দ্রকোনা: এনআরইজিএ প্রকল্পে গ্রামে ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হলেও মাঝ পথে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার কাজের জন্য বারদ্দ হওয়া টাকা গেল কোথায়, রাস্তাই বা কবে হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসীরা। অভিযোগ, এলাকার সমস্যার সমাধানের জন্য একাধিকবার ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনি অভিযোগ তুলে চরম ক্ষোভ ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। যদিও গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দার দাবি, দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের যাতায়াতের রাস্তাটুকু তৈরি করে দেওয়া হোক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের জাড়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকচা গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা।

এনআরইজি প্রকল্পের অধীনে ঢালাই রাস্তা তৈরির কাজ হবে বলে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে লাগানো হয়েছিল বোর্ড। সেই বোর্ডে লেখা ছিল, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কাজের জন্য ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৪১ টাকা এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে। আর সেই রাস্তার কাজেই প্রশাসনের চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠল। এমনকি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুললেন গ্রামের বাসিন্দারা। বাকচা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তার কাজ শুরু হতেই গ্রামের বেশ কয়েকজন মানুষের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত একটু বিবাদ দেখা দেয়। সেই বিবাদ মেটানোর জন্য গ্রামের মানুষজন উভয় পক্ষ একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্যার সমাধানের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।

এদিকে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যার। এদিকে ভালো রাস্তা না থাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে চরম রাস্তার সমস্যায় ভুগছেন গ্রামের মানুষজনেরা। গ্রামের মানুষজনদের অভিযোগ, তারা জানতে পেরেছেন এই রাস্তার যে কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েত সহযোগিতায় সেই টাকাও তুলে নিয়েছেন ঠিকাদারি সংস্থা। এক কথায় রাস্তা না করেই রাস্তার কাজের টাকা উঠল কী করে, সেই প্রশ্ন তুলছে গ্রামের মানুষজন। যদিও এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বদেশ প্রামাণিককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি খোলসা করেননি। এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্বদেশ প্রামাণিক বলেন, “রাস্তার কাজ হবে বলে মালপত্র পড়েছিল। একটা সমস্যার জন্য কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু দুর্নীতির কোনও ব্যাপার নেই। আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত স্বচ্ছ ভাবেই চলছে।”

চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী এ বিষয়ে বলেছেন, “আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।”