Dengue: প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্ত চন্দ্রকোনায়, নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা

Dengue: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড রঘুনাথপুর। সম্প্রতি বোর্ডের বাসিন্দা ১১ বছরের স্কুল ছাত্র ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়।

Dengue: প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্ত চন্দ্রকোনায়, নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা
বর্ষার মরশুমে তুঙ্গে ডেঙ্গি আতঙ্ক। গত দু বছর কোভিডের প্রকোপে এই ডেঙ্গির কথা অধিকাংশই ভুলতে বসেছিল। তবে ম্যালেরিয়াডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া কোনওটিই কিন্তু দূর হয়ে যায়নি। কোভিডের মধ্যেও বেশ কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার যখন কোভিডের গ্রাফ খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে সেই সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গি। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি থাকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2022 | 1:00 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: হদিসেই হুলুস্থুল। সম্প্রতি চন্দ্রকোনা পুরসভায় একজন ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তারপরেই প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক নেতা, চন্দ্রকোনা পুরসভা এলাকায় এই একমাত্র ডেঙ্গির নিয়েই চঞ্চল সব পক্ষ। কেউ প্রশাসনিক ভাবে তো কেউ রাজনৈতিকভাবে। তবে সক্রিয় হতে ডিঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। যদিও একাধিক ওয়ার্ডে নিকাশি ও সাফাই বিভাগ নিয়ে জমছে পাহাড়প্রমাণ অভিযোগ। ফলে সাধারণ মানুষের নিশানায় ‘পুর পরিষেবা’।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড রঘুনাথপুর। সম্প্রতি বোর্ডের বাসিন্দা ১১ বছরের স্কুল ছাত্র ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়। জ্বর সহ বেশ কিছু উপসর্গ নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর তাকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেই হাসপাতালের টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বেশ কিছুদিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে ওই স্কুল ছাত্র।

এ দিকে, শহরে প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই তড়িঘড়ি ওই ছাত্রের বাড়িতে পৌঁছায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও তার সহকর্মীরা। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও আপাতত কিছুদিন তাকে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। তবে কীভাবে সে আক্রান্ত হল তার কারণ অনুসন্ধান করছে ওই বিশেষ দলটি। এ দিকে, প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা শহরে। একই সঙ্গে নিকাশি ও সাফাই বিভাগকে কাঠগড়ায় তুলেছেন শহরবাসী।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ডেঙ্গি ঠেকাতে নোংরা আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করার দরকার রয়েছে। অথচ চন্দ্রকোনার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ড অপরিচ্ছন্ন। যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ বিরাজ করছে। জায়গায় জায়গায় জমে রয়েছে নোংরা জল। সেই থেকেই মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গি। প্রাক বর্ষা পর্যায় থেকেই এই অবস্থা বিশেষ কিছু ওয়ার্ডের। ফলে পুরসভার ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ শহরবাসী।

এ দিকে, একমাত্র ডেঙ্গুর হদিশ মিলতে রাজনৈতিক মহারণে নেমে পড়েছে তৃণমুল-সিপিএম-বিজেপি। একযোগে বিরোধীদের অভিযোগ, একাধিকবার তারা পুরসভাকে শহরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ তাদের কথায় কান দেয়নি। শাসক দল পুরসভা চালাতে ব্যর্থ। যদিও, বিরোধীদের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, পুরসভার কোনও ব্যর্থতা নেই। সমস্ত বিভাগ ভালই কাজ করছে। অহেতুক খান চাইছে বিরোধীরা।

পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র বলেন, ‘পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর প্রতিদিন ওই ছাত্রের খোঁজ নিচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকর্মী ও ভেক্টর টিম বাড়ি গিয়ে নিকাশি ও সাফাই নিয়ে কাজ করছে। কোথাও কোনও অভিযোগ এলেই তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’