Netai Killing: নেতাই গণহত্যায় অভিযুক্ত ফুল্লরার জামিন, শুভেচ্ছা জানাতে হাজির সুশান্ত ঘোষ
Netai Killing: নেতাই-কাণ্ডে যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ফুল্লরার বিরুদ্ধে।
মেদিনীপুর: আট বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তথা সিমিএমের জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য ফুল্লরা মণ্ডলকে। আট বছর পর মুক্তি পেলেন তিনি। গত ২৩ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের তকফে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফুল্লরা। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে মেদিনীপুর কারাগার চত্বরে এ দিন উপস্থিত হয়েছিলেন বহু বাম নেতা-কর্মী। ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় ফুল্লরাকে। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষও।
৮ বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে ফুল্লরা বলেন ‘আমি আপ্লুত।’ মুক্তির স্বাদ তিনি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান বলে জানান ফুল্লরা। জেল চত্বরে উপস্থিত হয়ে সুশান্ত ঘোষ দাবি করেন, ফুল্লরা ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁর দাবি, শাসক দল বুঝেছিল ফুল্লরাকে জেলে না ঢোকালে ওই এলাকায় লাল ঝাণ্ডা নামানো যাবে না, তাই এই কাজ করা হয়েছিল। সুশান্ত ঘোষ আরও অভিযোগ করেন, গত ৮ বছরে একবারও প্যারোল দেওয়া হয়নি বাম নেত্রী ফুল্লরাকে। এমনকী মা মারা যাওয়ার পরও তাঁকে প্যারোল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারকে ‘অমানবিক’ বলেও উল্লেখ করেন সুশান্ত। এ দিন ফুল্লরাকে ঘিরে বাম কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
নেতাই-কাণ্ডে যাঁরা আহত হয়েছিলেন তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ফুল্লরার বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় ব্লকের নেতাই গ্রামে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়, ২৮ জন আহত হন। জেলার একাধিক বাম নেতার নাম জড়ায় ওই ঘটনায়। অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে, ফুল্লরা মণ্ডল, চণ্ডী করণ সহ একাধিক বাম নেতার নাম সামনে এসেছিল।
প্রথমে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৩ সালে সিবিআই এই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। ২০১৪ সালে ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই বছরেই ৩০ জুন ফুল্লরাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আট বছর জেলেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি ৬৫ বছরের ফুল্লরাকে সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে।