Paschim Medinipur: মাছ বিক্রি করলে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা! বাজার থেকে মহিলা ব্যবসায়ীকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ

Paschim Medinipur: বাজারে ব্যাবসা করতে গেলে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা তোলা! চরম সমস্যায় পড়ে থানার দ্বারস্থ মহিলা ব্যবসায়ী। ‘নতুন কোনো ব্যবসায়ীকে বাজারে ব্যবসা করতে দেব না’, ক্যামেরার সামনেই হুঁশিয়ারি অভিযুক্তদের।

Paschim Medinipur: মাছ বিক্রি করলে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা! বাজার থেকে মহিলা ব্যবসায়ীকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ
বিপাকে মহিলা মাছ ব্যবসায়ী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2022 | 6:00 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। কিন্তু, নিজের উদ্যোগে মাছের (Fish) ব্যবসা করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন এক মহিলা ব্যবসায়ী। অভিযোগ, বাজারে ব্যবসা করতে গেলে তাঁর থেকে চাওয়া হচ্ছে ১ লক্ষ টাকার তোলা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুরের (West Midnapore) রাজাবাজারে। সূত্রের খবর, দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে অর্থের জোগান দিতে সম্প্রতি মাছ ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত ওই মহিলা ব্যবসায়ী। বাজারের মাঝে ছোট্ট একটি জায়গায় নিজের উদ্যোগেই দিনদুয়েক আগে মাছ নিয়ে ব্যবসাও শুরু করেন তিনি। 

অভিযোগ, মাছ নিয়ে বসতেই তাঁর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন বাজার কমিটির নেতারা। টাকা না দিলে তিনি ব্যবসা করতে পারবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত নেতাদের হুমকিতেই তাঁকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। এ ঘটনায় ওই মহিলা ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। অভিযোগ জানানো হয়েছে মেদিনীপুর পৌরসভাতেও। যদিও তারপরেও এখনও এ ঘটনার কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী। এদিকে এ ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে বাজার কমিটির সদস্য সঞ্জয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে। যদিও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি বাজার কমিটির সিদ্ধান্ত মেনেই ওনাকে বাজারে বসতে দেওয়া হয়নি। 

অভিযুক্ত সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, “এক লাখ টাকা চেয়েছি? কিসের জন্য চেয়েছি? আরও পাঁচ জনকে জিজ্ঞেস করুন। আমাদের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওকে বসতে দেওয়া হয়নি। আমরা মাছের দোকান করতে দেব না। এটা নিয়ম আছে আমাদের। এর জন্য টাকা পয়সার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দীর্ঘদিন ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। সেই কারণে বাজারে আমরা আর নতুন ব্যবসায়ী চাইছি না।”

ঘটনা প্রসঙ্গে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিপ্লব বসু বলেন, “ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। ওই ভদ্র মহিলা ও ওনার স্বামী আমার কাছে এসেছিলেন। এরকম হয়ে থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বাজার কমিটিকে খুব দ্রুত ডেকে পাঠাব। ওই কমিটিও ভেঙে দেব। এ ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। কোনও হুমকি আমরা বরদাস্ত করব না। এটাই আমাদের দলের লাইন। বাজারটা পৌরসভার। পৌরসভা সিদ্ধান্ত নেবে যাবতীয় বিষয়ে।”