Acid attack: অ্যাসিড হামলায় মৃত্যু, ১৭ বছর পর সাজা ঘোষণা আদালতের
Daspur: এই ঘটনায় ওই ব্যক্তির মুখ, বুক, চোখ, মাথা ঝলসে যায়।
দাসপুর: কেটেছে অনেকগুলি দিন শুধু পুলিশ আর আদালত করে। কিন্তু হাল ছাড়েননি ওঁরা। দিনগুণছিলেন দোষীদের শাস্তির জন্য। আর সেটা হলও। সতেরো বছর পর মিলল অপরাধীদের সাজা। এক অ্যাসিড হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চারজনের সাজা ঘোষণা করল ঘাটাল আদালত। বিচারক দুই অভিযুক্তের যাবজ্জীবন ও বাকি দু’জনের পাঁচ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন।
অ্যাসিড ছুঁড়ে খুন করা হয়েছিল দাসপুরের এক ব্যাক্তিকে। অবশেষে সতেরো বছর পর হল সেই মামলার নিষ্পত্তি। অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে ঘাটাল আদালত।
কী ঘটেছিল?
২০০৪ সালের ২২ শে জানুয়ারি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার বড় শিমুলিয়া গ্রামে বাস করতেন রতন সামন্ত নামে এক ব্যক্তি। পারিবারিক বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর ওইদিন ভোর চারটে নাগাদ অ্যাসিড ছুঁড়ে মেরেছিলেন রতন চার জন প্রতিবেশী। সেই অ্যাসিড ছোঁড়ার ঘটনায় রতনবাবুর মুখ, বুক, চোখ, মাথা ঝলসে যায়। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও তারপরে ঘাটাল পরে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। প্রায় কুড়ি দিন কেটে যাওয়ার পর রতন বাবু মারা যান।
সেই সময় পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩২৬, ৩০৮, ৩০৪ ও ৩৪ নম্বর ধারায় চার্জশিট পেশ করে নন্দ সামন্ত ও তার স্ত্রী শ্যামলী সামন্ত, স্বদেশ সামন্ত ও তার স্ত্রী নমিতা সামন্তের বিরুদ্ধে। এরপর এই মামলার ২০০৫ সালে ১৮ নভেম্বর চার্জশিট পেশ করা হয় । অবশেষে আজ চরম পর্যায়ে রায় ঘোষণা করল ঘাটাল মহকুমা আদালত।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২১ ডিসেম্বর আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী ছিল নদিয়া। আদালত থেকেই জোর করে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যাসিড ছুড়ল স্বামী। ঘটনায় ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্রান্ত গৃহবধূর নাম সনিয়ারা মণ্ডল। তিনি তাহেরপুর থানার টাকশালের বাসিন্দা। ছয় বছর আগে সোনিয়ারার বিয়ে হয় তাহেরপুর থানার টাকশালের বাসিন্দা সফিউদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।সনিয়ারা বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতো স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর সহ্য করতে না পেরে গত তিন মাস আগে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এরপর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার জন্য আজ আইনজীবীর কাছে দ্বারস্থ হন সনিয়ারা। আইনজীবী কাজের জন্য আজ তাঁকে আদালতে আসতে বলেন। অভিযুক্ত স্বামী তখনই আদালত থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যাসিড ছোড়ে বলে অভিযোগ।