WMID Cultivation: সহায়ক মূল্য ধান বিক্রি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার চাষিরা
Paschim Medinipur: ভাগচাষিরাও সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন। ভাগচাষি তাঁর নাম নথিভুক্ত করার জন্য সেল্ফ ডিক্লারেশন সহ এনেক্সার ২ বা এনেক্সার ৩ ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ধান ক্রয় কেন্দ্রে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কৃষকরা। বাধ্য হয়েই ফড়েদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকদের।
প্রান্তিক চাষীদের কথা মাথায় রেখেই ধানের সরকারি সহায়ক মূল্য বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ১লা নভেম্বর থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে শুরু হয়েছে ধান কেনা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২১ ব্লকে ২৯ টি ধান ক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে ধান কেনা। জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, ২০২১-২২ সালে ২ লক্ষ ৩১ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে জেলা থেকে।
রাজ্য সরকার প্রান্তিক চাষিদের পাশে থেকে অভাবে বিক্রি বন্ধ করতেই সরকারি সহায়ক মূল্যে কুইন্টাল প্রতি ১৯৪০ টাকা দরে ধান কেনা শুরু করেছে। এছাড়াও ধান ক্রয় কেন্দ্র ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল প্রতি কুড়ি টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। খাদ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, একজন কৃষক খরিপ মৌসুমে সর্বাধিক ৪৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। কৃষক বন্ধু কার্ড থাকলেই কৃষকেরা ধান ক্রয় কেন্দ্র ধান বিক্রি করতে পারবেন।
ভাগচাষিরাও সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন। ভাগচাষি তাঁর নাম নথিভুক্ত করার জন্য সেল্ফ ডিক্লারেশন সহ এনেক্সার ২ বা এনেক্সার ৩ ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। জওয়াদের ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। কৃষি ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন ধান, আলু। জমিতে জলে ডুবে নষ্ট হয়েছে ধান,আলু। নতুন করে জমিতে আলু লাগানোর মত কৃষকদের হাতে পয়সা নেই।
কৃষকদের অভিযোগ, সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ধান বিক্রির ডেট পেতে দু-তিনদিন ঘুরতে হচ্ছে, পরিমাণে কম ধান নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা। এমনি হয়রানির অভিযোগ তুলছে চন্দ্রকোণা ১ ও ২ ব্লকের কিষাণ মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে আসা চাষিরা ।
অপর দিকে চাপে পড়ে ১৪৫০/ ১৫০০ টাকা কুইন্টাল দরে ফোঁড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। যদিও ক্যামেরার সামনে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের কেউ কিছু না বললেও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। এদিকে ধান বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামবে বলে জানাল চন্দ্রকোণার সিপিএম নেতা বিদ্যুৎ রায়। তিনি বলেন. “সঠিক কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারছেনা কিষাণ মাণ্ডিতে।”
যদিও ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন চন্দ্রকোণা দুটি কিষাণ মাণ্ডিতে কড়া নজরদারি চালানো হবে, কৃষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।