Housewife Missing in Pingla: এবার পিংলা! ছেলেকে টিউশনে নিয়ে গিয়ে ‘উধাও’ আরও এক মহিলা!
Paschim Medinipur: এর আগেও ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ
পিংলা: এবারে আর শীতবস্ত্র নয়, সন্তানকে টিউশন পড়াতে ‘যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরলেন না গৃহবধূ। তাঁকে না পেয়ে উদ্বেগে গোটা পরিবার। তবে কি বালির দুই গৃহবধূর দেখানো পথই অনুসরণ করলেন তিনিও? আশাঙ্কা গ্রাস করেছে পরিজনদের।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পিংলা থানার দনীচক এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, পিংলা থানার দনীচক এলাকার বাসিন্দা সুদেষ্ণা মাইতি। তাঁর স্বামী গোপাল মাইতি। কর্মসূত্রে গোপালবাবু হাওড়াতে থাকতেন। পাঁচ বছরের ছেলে রাজকুমারকে নিয়ে পিংলায় বসবাস করতেন সুদেষ্ণা।
এদিন, রাজকুমারকে টিউশন পড়াতে নিয়ে যাবেন বলে বাড়ির টাকা-পয়সা ও সোনার গহনা নিয়ে বের হন ওই গৃহবধূ। কিন্তু অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরও ফেরেননি তিনি। এরপরই খোঁজ শুরু হয় তাঁর। এদিকে, তাঁকে ফোন করলে মোবাইলও সুইচ-অফ পান বলে দাবি পরিবারের।
এই ব্যাপারে ওই গৃহবধূর সুদেষ্ণা মাইতির দাদা শুভঙ্কর সামন্ত বোনকে খুঁজে দেওয়ার জন্য ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। তিনি জানান, যে তাঁর বোন ভাগ্নেকে নিয়ে টিউশন পড়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি।
এদিকে গোটা ঘটনায় নিখোঁজ ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় কার্যত দিশেহারা বোধ করছেন উদ্বিগ্ন পরিবার। বাড়ির গৃহবধূকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে পেতে চাইছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিংলা থানা একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছে ওই গৃহবধূর শ্বশুর। এর আগেও ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। তবে অপহরণ নাকি অন্য কিছু রয়েছে এই নিখোঁজ হওয়ার পিছনে সেই বিষয় তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বালির দুই গৃহবধূর বিরুদ্ধে। গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের দুই বউ। সঙ্গে ছিল একজনের ছেলে। এদিকে এরপরই তাঁদের মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। কর্মকার পরিবারের তরফে নিশ্চিন্দা থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত ১৭ ডিসেম্বর পাঁচজন মুর্শিদাবাদ থেকে হাওড়া স্টেশনে এসে সেখান থেকে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে করে মুম্বইয়ের পথে রওনা দেন। সেখানে তিন দিন থাকার পর অভিযুক্ত এক যুবকের বাড়ি থেকে তাঁর পরিবারের তরফে মুর্শিদাবাদে ফিরে যেতে বলা হয়। সেইমতোই গত ২০ ডিসেম্বর মুম্বই মেলে চেপে তাঁরা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরই মোবাইল ফোনের ট্র্যাকারে ধরা পড়ে তাঁদের গতিবিধি।
পরে গত বুধবার আসানসোলে নামার বিষয়টিও ফোন ট্র্যাক করেই জানতে পারে পুলিশ। সেইমতোই আসানসোল স্টেশনে উপস্থিত ছিল পুলিশ। বুধবার আসানসোল থেকে তাদের ধরে নিশ্চিন্দা থানায় নিয়ে আসার পর বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: Night Curfew in UP: ওমিক্রন আতঙ্কে বড়দিনের রাত থেকেই নাইট কার্ফু জারি উত্তর প্রদেশে