Ghatal Mob Lynching: বস্তার মধ্যে সারি সারি স্মার্টফোন-থালাবাসন, চোর সন্দেহে গণধোলাই যুবককে
Ghatal Mob Lynching: গ্রামবাসীদের কথায়, বুধবার তাঁর হাতে একটি বুধবার তাঁর হাতে একটা বস্তা ছিল। গ্রামবাসীরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু কথায় অসঙ্গতি থাকায়, তাঁর বস্তা খুলে দেখেন।
ঘাটাল: চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার রত্নেশ্বর বাটি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে গ্রামের মানুষ চোর সন্দেহে ঘিরে মারধর করেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই অপরিচিত ব্যক্তিকে বেশ কয়েকদিন ধরেই গ্রামে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। গ্রামবাসীদের কথায়, বুধবার তাঁর হাতে একটি বুধবার তাঁর হাতে একটা বস্তা ছিল। গ্রামবাসীরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু কথায় অসঙ্গতি থাকায়, তাঁর বস্তা খুলে দেখেন। দেখেন চারটি স্মার্ট ফোন-সহ বেশ কয়েকটি কাঁসার থালা রয়েছে তাতে। কোথা থেকে তিনি এই জিনিস পেয়েছেন, তা প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু কোনও উত্তরই দিতে পারেননি তিনি। এরপরই চোর সন্দেহে গণধোলাই দেন গ্রামবাসীরা। ব্যক্তির পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে কোনও মতেই ওই লোকটি তাঁর নাম বলতে পারেননি। ওই ব্যক্তি কোথা থেকে এসেছেন, তা জানতে তৎপর পুলিশ। আদৌ ওই ব্যক্তির মানসিক অবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই মালদায় চোর সন্দেহে দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, পিক আপ ভ্যানে ওই দুই যুবক বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তায় ওই রকম একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। তাঁরা গাড়ি আটকে ওই দুই যুবককে প্রশ্ন করেন, তাঁরা কোথা থেকে আসছেন, কোথায় যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা সেভাবে কোনও উত্তর দিতে পারেননি। তারপরই সন্দেহ হওয়ায় তাঁদেরকে মারধর করা শরু করেন গ্রামবাসীরা। যদিও এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের তরফ থেকে গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়, আইন যেন তাঁরা নিজের হাতে তুলে না নেন।