Medinipur: রোজা রেখেছেন, তাও নাওয়া-খাওয়া ফেলে রাত পর্যন্ত রামনবমীর পতাকা সেলাই করলেন কাজী
Medinipur: বাজার থেকে পতাকা কিনে আনার পর অনেকেই ওনার কাছে অনুরোধ করেন সেলাই করে দেওয়ার জন্য। ছোট বড় মিলিয়ে বহু ধ্বজা সেলাইও করে দিয়েছেন কাজী আবু বক্কর।
মেদিনীপুর: শুরু হয়েছে রমজান। তাই রোজা রেখেই করতে যাবতীয় কাজ। এ দিকে আজ আবার রামনবমী। তাই গেরুয়া পতাকা কেনার হিড়িক লেগেই রয়েছে। সেই কারণে একটুও পিঠ ঠেকিয়ে বিশ্রামের সময় নেই মেদিনীপুরের বাসিন্দা কাজী আবু বক্করের। রোজার মধ্যেই রামনবমীর একের পর এক পতাকা সেলাই করে চলেছেন তিনি। বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত ধ্বজা সেলাই করেছেন কাজী। দমটুকু ফেলার সময় পাননি। বুধবার সন্ধ্যায় রোজা খোলার সময় টুকু বন্ধ রেখেছিলেন পতাকা সেলাইয়ের কাজ। যেহেতু আজ সকাল থেকেই রাম নবমীর পুজো। আর গেরুয়া ধ্বজা লাগানোর রেওয়াজ রয়েছে। সেই কারণে রাতেই কাজ শেষ করেন এই দর্জি। বাজার থেকে পতাকা কিনে আনার পর অনেকেই ওনার কাছে অনুরোধ করেন সেলাই করে দেওয়ার জন্য। ছোট বড় মিলিয়ে বহু ধ্বজা সেলাইও করে দিয়েছেন কাজী আবু বক্কর।
তাছাড়া মঙ্গলবার থেকেও কয়েকজন এসেছিলেন পতাকা সেলাই করানোর জন্য। কাউকেই ফিরিয়ে দেননি তিনি। আবু বলেন, “রাত দেড়টা পর্যন্ত কাজ করেছি। যেহেতু সকালেই পতাকা তুলবে তাই অনুরোধ ফেলতে পারিনি। তবে সবারই অনুরোধ তাড়াতাড়ি সেলাই করে দেওয়ার।” বাড়ি শহরের অলিগঞ্জ এলাকায় হলেও টেলারিং এর দোকান রয়েছে মিরবাজার এলাকায়। মেদিনীপুর শহরে বেশ কয়েক বছর ধরে রাম নবমী পুজোর দিন বজরংবলির ছবি সহ গেরুয়া ধ্বজা ওড়ানোর চল বেড়েছে। সেই ধ্বজা শক্তপোক্ত করতে সেলাই করিয়ে নেন অনেকেই।
এ দিকে, শুরু হয়েছে রোজা মাস। আবুও রোজা রাখছেন। আবু বলেন, “শহরে আমরা মিলেমিশে থাকি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” মিরবাজার এর বাসিন্দা সুরজিৎ পিড়ি বলেন, “আবু স্থানীয় ক্লাবের সদস্য। সব কিছুতেই যুক্ত থাকেন উনি। রাতে পতাকা সেলাই করে দিয়েছে। পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “সম্প্রীতির শহর। এখানে সবাই মিলে মিশে কাজ করি আমরা।” উল্লেখ্য, বুধবার মেদিনীপুর শহরে মোটর বাইক মিছিল হয় রাম নবমী সমারোহ কমিটির ব্যানারে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার একটি বাইক মিছিলও হয়।