Sabooj Sathi Cycle: ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল পেতে গেলেও স্কুলকে দিতে হচ্ছিল ৫০ টাকা! নয়া অভিযোগ তোলপাড় মেদিনীপুর

Sabooj Sathi Cycle: টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা গেটের সামনে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখায়। যদিও টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্কুলের টিআইসি ঝন্টু কুমার রায়।

Sabooj Sathi Cycle: 'সবুজ সাথী'র সাইকেল পেতে গেলেও স্কুলকে দিতে হচ্ছিল ৫০ টাকা! নয়া অভিযোগ তোলপাড় মেদিনীপুর
সবুজ সাথী সাইকেল দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 4:39 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: স্কুল থেকে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল নিতে দিতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের ৫০ টাকা। ঘটনায় ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষকরা। অবশেষে বাধ্য হলেন টাকা ফিরত দিতে। এমনই ঘটনা ঘটেছে চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। বুধবার থেকে মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, সেই সাইকেল নিতে গেলে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। কিন্তু ৫০ টাকা করে কেন নেওয়া হচ্ছে? স্কুল সূত্রে খবর, অন্যত্র থেকে স্কুলে সাইকেলগুলি আনতে যে খরচ হয়েছে, সেটা বাবদ টাকা নেওয়া হয়েছে। টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা গেটের সামনে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখায়। যদিও টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্কুলের টিআইসি ঝন্টু কুমার রায়।

বেশ কিছুক্ষণ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুল গেটের সামনে আন্দোলন করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, তাদের খাতির যত্ন করে নিয়ে যান স্কুলের ভেতর। এই টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বিডিও-কেও জানিয়েছেন বলে জানায়। স্কুলের এক ছাত্র বলেন, “আমাদের বলা হচ্ছে গাড়ি ভাড়ার জন্য নেওয়া হবে। কাল গিয়েছিলাম সাইকেল আনতে, কিন্তু আমার কাছে টাকা ছিল না। স্যর বলেছিলেন, সাইকেল পেতে হলে টাকা নিয়ে আয়।”

বিষয়টি অস্বীকার করেননি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বক্তব্য “কয়েকজন ছাত্রের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।” যদিও এই বিষয়ে চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ বলেন, “সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলের জন্য টাকা নেবার বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছে। আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, কোনওরকম টাকা নেওয়া যাবে না। সমস্ত খরচ সরকার বহন করে। গাড়ি ভাড়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। কারণ সাইকেল আমরাই নামিয়ে দিয়ে আসি।”