Wild Life Hunter: মরশুম আসতেই পরিযায়ী পাখি শিকার চোরা শিকারিদের, ক্যামেরা দেখেই পাঁইপাঁই করে ছুট…
Paschim Medinipur: স্থানীয়দের দাবি, বছরের বেশিরভাগ সময়েই চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য জারি থাকে এলাকায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর: রমরমিয়ে চলছিল বন্যপ্রাণ হত্যা। বন্ধ করতে কড়া হুঁশিয়ারি বনদফতরের। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে দাপট জারি চোরাশিকারিদের কারবার। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই ছুট। গোটা ঘটনায় বন দফতরের নজরদারি প্রশ্নের মুখে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের উদয়চক এলাকায় বছরের এই মরশুমে দেখা মেলে নানা পরিযায়ী পাখির। আর এই সকল পাখিদের আনাগোনা বাড়লেই এলাকায় বাড়ে চোরা শিকারিদের দাপট। বক হোক বা সারস, কিংবা ডাউক চোরা শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না পক্ষীকুল। অবশেষে শুক্রবার রুখে দাঁড়ালেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে রীতিমতো দৌড়ে পালায় চোরাশিকারীর দল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বছরের বেশিরভাগ সময়েই চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য জারি থাকে এলাকায়। একাধিকবার বনদফতরের নজরে এনেও মেলেনি কোনও সুফল। দাসপুর, সুলতাননগর বিট হাউসের বনকর্মীদের দাবি, এভাবে শিকার রুখতে বার বার সচেতনতা প্রচার চালানো হয়েছে বনদফতরের তরফে। তবে এখনও যে সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি সেই বিষয়টিও কার্যত মেনে নিচ্ছেন বন বিভাগের কর্মীরা।
অন্যদিকে বন্যপ্রাণ হত্যা রুখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে বনদফতরের তরফে। মেদিনীপুর, খড়্গপুর, রূপনারায়ণ তিন ডিভিশানের তরফেই মাইকিংয়ের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে প্রচার। বন্যপ্রাণ হত্যার ঘটনায় কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হচ্ছে বনদফতরের তরফে। তবে এত কিছুর পরেও সচেতনতা কবে ফিরবে! তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এই বিষয়ে বন্যপ্রাণ রিকভারি দলের সদস্য মলয় ঘোষ জানান, “মানুষের মধ্যে পাখি শিকারের প্রবোণতা আজও একই রয়ে গিয়েছে। আজকে দেখলাম যে এক জায়গায় মানুষ উৎসাহিত হয়ে বক শিকার করছে। আমরা আসতেই ওরা ছুটে পালিয়ে গেল। যদিও, এটা আমাদের শিডিউলের মধ্যে না পড়লেও অপরাধের মধ্যেই পড়ছে। যে কোনও বন্যপ্রাণী শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ।”
আরও পড়ুন: Nandigram Chaos: লাগাতার টাকা চুরি, বিডিয়োর অভিযোগের ভিত্তিতে জেলে ঢুকল পঞ্চায়েত প্রধান