Vidyasagar University: বাংলো ছাড়ার সময় নিয়ে যাওয়া মোবাইল-ল্যাপটপ ফেরত চেয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যকে চিঠি
Paschim Medinipur: জানা গিয়েছে, ২০২১ এর ৫ ই জুলাই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন রঞ্জন চক্রবর্তী। ফলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো ছেড়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যান বেশ কিছু সামগ্রী।
পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলো ছাড়ার সময় হাতে এল নির্দেশ। ছেড়ে যাওয়ার আগে মোবাইল, ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু সামগ্রী ফেরত চেয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীকে চিঠি পাঠাল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে শিক্ষামহল।
জানা গিয়েছে, ২০২১ এর ৫ ই জুলাই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন রঞ্জন চক্রবর্তী। ফলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো ছেড়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যান বেশ কিছু সামগ্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, চলতি বছরের জুন মাসের ৯ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের মিটিং-এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতোই বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রাক্তন উপাচার্যকে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী চিঠির বিষয়ে স্বীকার করেছেন। তবে চিঠি আসার আগেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আর সংশ্লিষ্ট চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে কিছু সামগ্রী রয়েছে তা যেন ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে, নতুন উপাচার্য জানিয়েছেন রঞ্জনবাবু বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেওয়ার কেউ নন। ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হয়েছে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন ঘটনা নেই বলেই মনে করছে শিক্ষকমহল।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই খবরে এসেছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়।প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনের আগেই দেখা গেল ফাটল ।আর্ট অ্যান্ড মিউজিক বিভাগের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয়নি ভবনটির। তবে এরই মধ্যে দেখা গিয়েছে বড়-বড় ফাটল। ভবনের বাইরের অংশে যেমন ফাটল দেখা গিয়েছে , তেমনই চিড় ধরেছে ভবনের ভিতরের দেওয়ালেও। ভবনটি এই মুহূর্তে ব্যবহার করা যথেষ্ট বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পূর্ত দফতরের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে গোটা বিষয়টি। পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দাবি, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে তাঁদের তরফে।