Medinipur Medical College: আর কোনও জুনিয়র চিকিৎসক OT রুমে ঢুকতে পারবেন না, জারি নির্দেশিকা

Medinipur Medical College: জানা গিয়েছে, এ দিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্ত্রীরোগ, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক, অপথ্যালমোলজি, ইএনটি বিভাগীয় প্রধানদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে আর অস্ত্রোপচার নয়।

Medinipur Medical College: আর কোনও জুনিয়র চিকিৎসক OT রুমে ঢুকতে পারবেন না, জারি নির্দেশিকা
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2025 | 9:37 PM

কলকাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন-কাণ্ডের জের। জুনিয়র চিকিৎসকদের ওটি রুমে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। এবার থেকে সার্জারি, অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোন‌ও পিজিটি যুক্ত থাকবেন না। নির্দেশিকা জারি করলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি নন্দী।

জানা গিয়েছে, এ দিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্ত্রীরোগ, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক, অপথ্যালমোলজি, ইএনটি বিভাগীয় প্রধানদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে আর অস্ত্রোপচার নয়। এবার থেকে এস‌আর, সিনিয়র চিকিৎসকদের‌ই অস্ত্রোপচার করতে হবে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে,শুধু সিনিয়র ডাক্তারদের দিয়ে ওটি করাতে হলে স্বাস্থ্য ভবন কুলিয়ে উঠতে পারবে? সারা রাজ্যে রোজ যত ডেলিভারি এবং অন্য অস্ত্রপচার হয় সে সবে জুনিয়র ডাক্তাররা হাত না লাগালে অপারেশন সম্ভব হবে?

এ দিন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ অভিযোগ করেছিলেন, মেদিনীপুরে স্বাস্থ্য দফতরের ওটি প্রোটোকল মানা হয়নি। ঘটনার প্রসূতিদের চিকিৎসা করেছিলেন ট্রেনি চিকিৎসকরা। তিনি বলেন, “সব সময় একজন সিনিয়র চিকিৎসকের উপস্থিতিতেই অস্ত্রপচার করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় ট্রেনি চিকিৎসকরাই বিষয়টি হ্যান্ডেল করেছেন। আমরা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলাম ট্রেনি চিকিৎসকদের সিনিয়র চিকিৎসকদের অধীনে কাজ করতে হবে। তাঁদের যথাপোযুক্ত ডিউটি রস্টার মেনে চলতে হবে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এখানেও একটি গাফিলতি হয়েছে।” এরপর‌ই নির্দেশিকা জারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের।নির্দেশ অমান্য হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।

এ দিকে, মুখ্যসচিবের এই বক্তব্যের পাল্টা জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘ যেমনটা আমরা আশঙ্কা করেছিলাম ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনাকে চিকিৎসায় গাফিলতি বলে চালিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। যার তত্ত্বাবধানে বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজে পর্যাপ্ত ডাক্তার, অধ্যাপক, জুনিয়ার ডাক্তার,গ্রুপ ডি স্টাফ, টেকনোলজিস্ট নিয়োগই করা হচ্ছে না, যার বদান্যতায় বেশিরভাগ জীবনদায়ী চিকিৎসার জন্য সারা বাংলা থেকে সাধারণ মানুষকে ছুটে আসতে হয় কলকাতায়। যার নজরদারিতে এখনও ব্ল্যাকলিস্টেড ওষুধ চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে ডাক্তারদের। যার আমলে একজন সরকারি হাসপাতাল এর প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও হাউসস্টাফ আশীস পান্ডে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছে। এবং সর্বোপরি যার কর্তব্যকালীন অবস্থায় হাসপাতালের অন কল রুমে ধর্ষিতা হয়ে খুন হতে হল তিলোত্তমাকে, তাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হল। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হল এরকম অসংখ্য গাফিলতির দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে নিতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। অবিলম্বে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে অপসারণ করতে হবে। ওই পদে আসীন থাকার নৈতিক ও যৌক্তিক অধিকার তার কোওনভাবেই নেই।’