Paschim Medinipur Murder: নৃশংস! বয়স ১০৭, পরনের ধুতি দিয়েই কোমর বাঁধা, পুড়ে ঝলসে গেছে গোটা শরীর, কাগজে লেখা ‘বেইমানির শাস্তি’
Paschim Medinipur Murder: রানিচক এলাকায় নন্দের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জনবহুল জায়গায় একটি পরিত্যক্ত ছাউনিতে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর: পরনের ধুতি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা কোমড়। গোটা শরীর পুড়ে ঝলসে কালো হয়েছে। পাশে পড়ে রয়েছে একটি কাগজ। তাতে লেখা ‘বেইমানির শাস্তি।’ সাতসকালে এলাকারই এক বৃদ্ধের ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখে শিউরে উঠলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেদাসপুর থানার রানিচক এলাকায়। বৃদ্ধের হাত পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। দেহটি নব্বই শতাংশ পোড়া ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারাই জানাচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বৃদ্ধের নাম নন্দ মণ্ডল, বয়স ১০৭ বছর।
রানিচক এলাকায় নন্দের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জনবহুল জায়গায় একটি পরিত্যক্ত ছাউনিতে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বৃদ্ধের হাত পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। তাঁরা যখন দেহটি দেখতে পান, তা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পাশে একটি কাগজ পড়ে ছিল। তাতে লেখা ‘বেইমানির শাস্তি।’ এমনকি পাশ থেকে নেশা দ্রব্যের সামগ্রীও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এটিকে খুন বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন ভোরে বৃদ্ধা হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তারপরই এই ঘটনা সামনে আসে। তবে কী কারণে এই ঘটনা, তা স্পষ্ট নয় বলে দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুরু তদন্ত।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বৃদ্ধের সঙ্গে কারোর কোনও পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই আক্রোশ থেকেই এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কোনও ‘ক্লু’ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কাগজে হাতের লেখা থেকেও কিছু নমুনা সংগ্রহ করছে পুলিশ।