Paschim Medinipur Student Death: ভোর রাতে ঘরের দরজায় টোকা, স্কুলছাত্রীর চরম অবস্থায় স্তম্ভিত বাড়ির সদস্য়রা
Paschim Medinipur Student Death: পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, মেয়েটি সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর: এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বেলদার কুলিগেড়িয়াতে।পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের বেলদার কুলিগেড়িয়াতে রবিবার সকালে এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। সূত্রের খবর, মৃত স্কুল ছাত্রীর নাম সুকন্যা পয়ড়্যা। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নির্দিষ্ট সময়েই খাওয়া সেরে শুতে চলে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। রবিবার ভোর রাতে বাড়ির লোকের কিছু একটা সন্দেহ হয়। তার ঘরের দরজা ধাক্কা মারেন। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, মেয়েটি সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্রী। কিন্তু কেন, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে বেলদা থানার পুলিশ।
ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। মৃত ওই ছাত্রী এই মাধ্যমিক দিয়েছে এবং একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। ওই ছাত্রীর কোনও প্রেম ছিল কিনা, পরিবারের তরফ থেকে কোনও সমস্যা ছিল না, এই সবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা।
ওই ছাত্রীর স্কুলেও কোনও সমস্যা ছিল না, স্কুলে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পরিবারের কোনও সদস্য এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরাও। তাঁদেরই এক জনের বক্তব্য, “কোনও সমস্যা ছিল বলে তো বাইরে থেকে বোঝা যায়নি। এই বয়সে যে কত কী হয়। মনে তো হচ্ছে আত্মহত্যাই করেছে।”