West Midnapore: দেখা নেই বৃষ্টির, ধুঁকছে নদী-খাল-বিল, মাঠেই পড়ে শুকোচ্ছে কাটা পাট! বড় ক্ষতির মুখে পাট চাষীরা
West Midnapore: আমন ধান চাষের ক্ষেত্রেও জলের অভাবে বীজ বপন করতে পারছেন না তাঁরা। কোথাও কোথাও মিনি বা ডিপ-টিউবওয়েলের পাম্প চালিয়ে ধান বীজ বপনের চেষ্টা চালছে।
ঘাটাল: চলতি বছরে শুরু থেকেই বর্ষার খামখেয়ালিপনায় চিন্তা বেড়েছিল কৃষকদের(Farmers)। বৃষ্টির অভাবে চাষাবাদ নিয়ে বেড়েছিল উদ্বেগ। এদিকে প্রায় মাস দেড়েক আগে খাতায় কলমে বর্ষা বাংলায় পা রাখলেও মেঘের দেখা ছিল আগে। কার্যত গোটা জুনই ছিল শুষ্ক। সন্ধ্যার দিকে দু-এক পসলা বৃষ্টি(Rain) হলেও তা একেবারেই চাষাবাদের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তবে জুলাইয়ের শুরু থেকে বর্ষা খানিক দরাজ হলেও এখনও কাটেনি উদ্বেগের মেঘ।
সহজ কথায়, বর্ষার ভরা মরশুমে বৃষ্টির দেখা নেই। পুকুর নদী খাল বিলে জল নেই। আমন ধান রোপন আর জমির পাট (Jute) ঘরে উঠবে কীভাবে? দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের(West Midnapore) ঘাটালের দেওয়ানচক, বালিডাঙ্গা, লক্ষণপুর, সুলতানপুর, মনশুকা, দীর্ঘগ্রাম, জয়বাগ, সোয়াই সহ বিভিন্ন জায়গার কৃষকরা এখন বৃষ্টির অপেক্ষায়। কারণ মাঠের পাট আদায় করে ঘরে তুলতে গেলে পাট কাটার পর পাট জলে পচিয়ে পাট থেকে তবেই বের হবে পাটের আঁশ। কিন্তু এই মরশুমে বৃষ্টির অভাবে পুকুর বা খাল বিল এখনও খালি। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট ভেজানোর জল নেই নদী বা খালগুলিতে। তাই পাট আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাট চাষীরা।
অপরদিকে আমন ধান চাষের ক্ষেত্রেও জলের অভাবে বীজ বপন করতে পারছেন না তাঁরা। কোথাও কোথাও মিনি বা ডিপ-টিউবওয়েলের পাম্প চালিয়ে ধান বীজ বপনের চেষ্টা চালছে। কবে হবে এ মরশুমের বৃষ্টি? কৃষকরা তাকিয়ে আকাশের দিকে। প্রসঙ্গত, গত বছর বর্ষার সময় টানা পাঁচবারের বন্যায় জমির ফসল ঘরে তুলতে পারেনি ঘাটাল মহকুমার কৃষকরা। এই বছর বার্ষায় মাঠ, ঘাট পুকুর এখনও শুকনো। পরিস্থিতির দ্রুত বদল না হলে যে বড়সড় সঙ্কট যে অপেক্ষা করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বড় ক্ষতির মুখ দেখতে হবে সমস্ত কৃষককেই। সারা বছরের রসদ কোথা থেকে আসবে তা ভেবেই চিন্তা বাড়ছে প্রতিটা কৃষক পরিবাররে। এমনকী সঙ্কটের মেঘ ঘন হলে সরকারি সাহায্য মিলবে কিনা তা নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ।