Plastic Ban: পলিথিন নিষিদ্ধ হতেই বেড়েছে কাগজের ঠোঙার চাহিদা, হাসি ফুটেছে কারিগরদের মুখে

পলিথিনের ব্যবহার কমতেই বাজারে বেড়েছে কাগজের ঠোঙার চাহিদা। এর জেরে ঠোঙা তৈরির সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের মুখে যেমন ফুটেছে হাসি ফুটেছে, তেমনই তাঁদের রোজগারও বেড়েছে।

Plastic Ban: পলিথিন নিষিদ্ধ হতেই বেড়েছে কাগজের ঠোঙার চাহিদা, হাসি ফুটেছে কারিগরদের মুখে
চলছে কাগজের ঠোঙা তৈরির কাজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 8:05 AM

ঘাটাল: এক বার ব্যবহার করা যায়, এ রকম নিম্নমানের প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে সরকার। ৭৫ মাইক্রোনের নিচে পলিথিন ব্যবহারে আইনের নিষেধাজ্ঞা নেমে এসেছে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে হাটে, বাজারে, দোকানগুলিতে প্রচার চালিয়েছে সরকার এবং সরকারি আধিকারিকরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে ক্রেতা থেকে বিক্রেতার জরিমানাও করা হচ্ছে। অভিযানের ফলে এখন পলিথিন ব্যবহার বেশ কিছুটা কমেছে বলে দাবি প্রশাসনের। পলিথিনের ব্যবহার কমতেই বাজারে বেড়েছে কাগজের ঠোঙার চাহিদা। এর জেরে ঠোঙা তৈরির সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের মুখে যেমন ফুটেছে হাসি ফুটেছে, তেমনই তাঁদের রোজগারও বেড়েছে।

ঠোঙা তৈরির কারিগরদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু প্লাস্টিক এসে তাদের এই পেশায় বাধার সৃষ্টি করেছিল। ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিলেন ঠোঙা তৈরির কারিগরেরা। চাহিদা কমে গিয়েছিল কাগজের ঠোঙা। সরকারিভাবে পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ায় আবার চাহিদা বেড়েছে কাগজের ঠোঙার। দিনরাত এক করে তাই ঠোঙা তৈরি করতে ব্যস্ত তাঁরা। এর জেরে সুখের মুখ দেখছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের খড়ার, ঘাটাল, চন্দ্রকোনার ঠোঙা তৈরির সঙ্গে যুক্ত কারিগরেরা। একেই বলে কারও সর্বনাশ, কারও পৌষ মাস।

কাগজের ঠোঙা তৈরির সঙ্গে যুক্ত চায়না দাস বৈরাগ্য বলেছেন, “সম্প্রতি ঠোঙার চাহিদা অনেক বেড়েছে। প্রচুর অর্ডার আসছে। খুব ভাল লাগছে। আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই এই কাজ করি। কিন্তু মাঝে অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখন ঠোঙার চাহিদা বাড়ায় খুব খুশি হয়েছি।”

স্বপন কুমার ঠাকুর নামের এক ব্যবসায়ী বলেছেন, “সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই নিষেধ মেনেই আমাদের ব্যবসা করতে হবে। নিয়মের বাইরে তো যাওয়া যাবে না। প্লাস্টিক বন্ধ হওয়ায় কাগজের ঠোঙাতেই সব কিছু দিতে হচ্ছে।” রাজমোহন ঘোষ নামের এক ক্রেতা বলেছেন, “সরকারি ভাল সিদ্ধান্তই নিয়েছে। কিন্তু আমরা অনেক দিন প্লাস্টিক ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই বাজারে এস একটু সমস্যা হচ্ছে।”