Kharagpur Congress: ‘চেয়ারটা কর্মীদের জন্যই টিকে থাকে, সেটা না বুঝলে ভরাডুবি’, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান খড়গপুরে
Municipal Elections 2022: তৃণমূল দলটা যে দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার এটা এখন পরিষ্কার, দাবি জেলা কংগ্রেস সভাপতির।
মেদিনীপুর: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর যে যেমনভাবে পারছে, রাগ, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে জেলায় জেলায়। কোথাও রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। কেউ আবার নির্দলে ভোট লড়ার কথা ভাবছেন। তেমনই দল ছেড়ে প্রতিবাদ দেখালেন মেদিনীপুরের শতাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তাঁরা। শনিবার মেদিনীপুর শহরের জেলা কংগ্রেস পার্টি অফিসে খড়গপুর তৃণমূলের প্রায় ১০০ জন কর্মী সমর্থক-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব কংগ্রেসে যোগ দেন। এই ঘটনার পরই জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায় বলেন, তৃণমূল দলটা যে দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার এটা এখন পরিষ্কার। সমীর রায় বলেন, তৃণমূলের এটা শেষের শুরু। মেদিনীপুরের হাত ধরেই এই সূচনা হল। গোটা রাজ্যে এবার ভাঙন হবে।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায় বলেন, “আজকে আমাদের কিছু পুরনো সহকর্মী যাঁরা তৃণমূল অথবা বিজেপিতে কাজ করছিলেন মোহ ভঙ্গ হয়েছে। তাই ঘর ওয়াপসি হল। পুরনো জায়গায় ফিরে এলেন। প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন চৌধুরী, প্রাক্তন কাউন্সিলর অঞ্জলি চৌধুরী, সুব্রত বসু, সুমিত্রা ঘোষ যোগ দিলেন। শচীন্দ্রনাথ মিশ্র আমাদের মাস্টারমশাই উনি বিজেপি করতেন, উনিও কংগ্রেসে যোগ দিলেন। খড়গপুর থেকে তপন প্রধান প্রায় ৮০ জন কর্মী নিয়ে এখানে এসেছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি যোগ দিলেন। মেদিনীপুর ও খড়গপুর মিলিয়ে শতাধিক যোগ দিলেন কংগ্রেসে। মূলত কংগ্রেসী ছিলেন।” তবে একইসঙ্গে সমীর রায় বলেন, যাঁরা দলে ফিরলেন তাঁরা সকলেই কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হবেন, তা একেবারেই নয়। যোগ্য থাকলে বিবেচনা করা হবে।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ছিলেন স্বপন চৌধুরী। এদিন কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর স্বপন চৌধুরী বলেন, “আমি দু’বার কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতেছি। ২০০৮ সালে তৃণমূলের হয়ে ভোটে জিতি। আমরা স্ত্রীও তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন। তৃণমূল ছাড়লাম আজ। কংগ্রেসে যোগ দিলাম। সমীরদার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে আসি আটের দশকে। এখন মনে করি ভারতের যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে আঞ্চলিক দলগুলি পারবে না। জাতীয় কংগ্রেসই পারবে সারা দেশকে বাঁচাতে। তাই কংগ্রেসে যোগ দিলাম।” কিন্তু এতদিন পর কেন বোধোদয়? তৃণমূলের তালিকা প্রকাশ অবধি কেন অপেক্ষা করতে হল? প্রশ্নের জবাবে স্বপন চৌধুরী বলেন, “আমাদের অনেক দিন ধরেই যোগাযোগ রয়েছে। সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাই। প্রার্থীপদ নিয়ে আমি কিছু ভাবিনি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।”
খড়গপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তপন কুমার প্রধান বলেন, “কংগ্রেস একটা ঐতিহাসিক দল। যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে নিদর্শন রেখেছে। আমরা তৃণমূলে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু স্থানীয় নেতার স্বজনপোষণ নীতি এবং কর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়া দলটার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। যে চেয়ারে বসে আছে, তা তো কর্মীদের জন্যই। কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব না দিলে চলে না। তা হলে ভরাডুবি। আমি খড়গপুর শহর কমিটির সদস্য ছিলাম এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। সব পদ তো ছেড়েইছি। ইস্তফা দিয়েছি শুক্রবারই।” যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা