TMC Candidate List: ‘আমি কুকুর নই, আজ টাকা দিতে পারিনি বলে…’ হাউহাউ করে কেঁদে ভাসালেন তৃণমূল কর্মী
West medinipur Candidate List: তাপস ঘোস বলেন, "আমি চাষির বাড়ির ছেলে। আমার অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো না। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। এতদিন ধরে দলে থাকার কারণে লোকসভা, বিধানসভা, ব্লকের দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে কিছু টাকার বিনিময়ে স্বার্থলোভী মানুষ হয়ত দলকে সহযোগীতা করেছে।"
পশ্চিম মেদিনীপুর: শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা। তারপর থেকেই জেলায়-জেলায় লাগাতার চলছে বিক্ষোভ। প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে এমন খবর আসছে। কোথাও প্রার্থী পছন্দ না কর্মীদের। কোথাও আবার অভিযোগ, যে প্রার্থীকে বসানো হয়েছে সেই প্রার্থী দুর্নীতিতে যুক্ত। কারোর-কারোর আবার সাফ অভিযোগ, যে সকল কর্মীরা কাজ করেন তাদেরই টিকিট দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্য ছবি। প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে কেঁদে ভাসালেন ক্ষীরপাই শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। রীতিমত দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের ক্ষীরপাই শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তাপস ঘোষ। তার নামে ফেসবুকে একটি পেজ রয়েছে। পেজটির নাম ‘তাপস ঘোষ ফ্যান ক্লাব।’ সেই পেজে গতকাল সন্ধে অনলাইন আসেন তিনি। এরপর রীতিমত কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে বিষোদগারও করেন তিনি। ঘটনার পর সেই লাইভ রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি কাঁদতে-কাঁদতে জানান, ‘দলের তালিকায় নাম থাকবে ভেবেছিলাম।’
কী বললেন তাপস?
তাপস ঘোস বলেন, “আমি চাষির বাড়ির ছেলে। আমার অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো না। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। এতদিন ধরে দলে থাকার কারণে লোকসভা, বিধানসভা, ব্লকের দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে কিছু টাকার বিনিময়ে স্বার্থলোভী মানুষ হয়ত দলকে সহযোগীতা করেছে। তবুও আমি চাই দল বাঁচুক। বিগত দিনে তৃণমূল করে দলে চাকরি পেয়েছিল, সিপিএম, বিজেপির দালালরা। আমরা ভালোবেসে দল করেছি। কুকুর নই। টাকা দিতে পারিনি বলে টিকিট পাইনি।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তাপস ঘোষ ক্ষীরপাই পৌরসভার বাসিন্দা। পুরানো তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। এর আগে চন্দ্রকোনা ১ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদে ছিলেন। ক্ষীরপাই পৌরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যে পৌরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কয়েকটি ওয়ার্ডের ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। তার উপর ফেসবুক লাইভে কেঁদে ভাসানোর পর আরও অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল।