Paschim Mednipur: একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা ঘিরে চাঞ্চল্য, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ স্থানীয়দের
Paschim Mednipur: সোমবার সকালেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ঝর্ণাডাঙ্গা এলাকার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। তার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। সেখানেই রয়েছে এক বন্ধুর নাম। যার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর আত্মহত্যাকে (Suicide) কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি এলাকায়। সোমবার সকালেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ঝর্ণাডাঙ্গা এলাকার ওই ছাত্রী। তার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও (Suicide note) উদ্ধার হয়। সেই সুইসাইড নোটে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর নাম পাওয়া যায়। তাকেই দায়ী করা হয়েছে মৃত্যুর জন্য। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয় পরিবারের তরফে। অভিযোগ, তারপরেও সকাল থেকে পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। যা নিয়ে চাপানউতর চলছিল গোটা এলাকাতেই। ততক্ষণে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল ওই ছাত্রীর মৃতদেহ।
সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর দেহ এলে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রাঙামাটি এলাকায় পথ অবরোধ করল স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি ওঠে। পথ অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ ওই এলাকায় তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত ছাত্রীর মামা টিঙ্কু দাস বলেন, “আমার ভাগ্নির আজ মৃত্যু হয়েছে। পুলিশকে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। তারপরেও পুলিশ কিছু করছে না। যতক্ষণ না অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে আমরা অবরোধ তুলব না। আজ আমাদের ক্ষতি হয়েছে। আগামীতে অন্যদের হতে পারি। তাই আমরা পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।”
যদিও খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপেই আধ ঘণ্টার মধ্যে উঠে যায় অবরোধ। পুলিশের দাবি, সন্ধ্যায় নির্দিষ্টভাবে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। এ ঘটনায় স্বভাবতই এদিন দিনভর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।