TMC Inner Clash: বিধায়ক জুন মালিয়ার অনুষ্ঠানে দেখা নেই জেলা সভাপতির, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পৃথক আয়োজন

TMC inner Clash: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে বিধায়ক জুন মালিয়ার উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের সেই হলেই জেলা সভাপতির তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হল আরও একটি বিজয়া সম্মিলনী।

TMC Inner Clash: বিধায়ক জুন মালিয়ার অনুষ্ঠানে দেখা নেই জেলা সভাপতির, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পৃথক আয়োজন
জুন মালিয়াImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2023 | 10:04 AM

মেদিনীপুর: বিজয়া সম্মিলনীতেও পিছু ছাড়ল না তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেদিনীপুর শহরের একই জায়গায় দুটি বিজয়া সম্মিলনী হল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে। একটি অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বিধায়ক আর অন্যটি জেলা সভাপতির। আর এই ঘটনাতেই নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে। একে অপরকে পছন্দ করেন না বলেই কি আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান? যদিও এই অভিযোগ মানছে না কোনও পক্ষই।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে বিধায়ক জুন মালিয়ার উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের সেই হলেই জেলা সভাপতির তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হল আরও একটি বিজয়া সম্মিলনী। শহরের রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মেদিনীপুর শহরে বিধায়ক জুন মালিয়া ও সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের বিভাজনের কথা নাকি সবারই জানা। এমনকী মেদিনীপুরে গিয়ে জেলা নেতৃত্বকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরও সেই একই ছবি ধরা পড়ল! যদিও দুপক্ষের কেউই কোন্দলের কথা স্বীকার করতে চাইছেন না।

বিধায়ক জুন মালিয়া বলেন, জেলা সভাপতি ব্যস্ত থাকায় তাঁর অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি। তাঁর দাবি, কলকাতায় কাজ থাকায় শুক্রবার ছাড়া সময় দিতে পারতেন না তিনি, সেই কারণেই অনুষ্ঠানটা সেরে ফেলতে হয়েছে তাঁকে। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার বক্তব্য, এটা কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নয়। তিনি জানান, বিধায়কের আয়োজন করা বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন কিন্তু নিজের কাজে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। তবে মেদিনীপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, এভাবে দুটো বিজয়া সম্মিলনী না হলেই ভাল হত। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মালিয়ার বিজয়া সম্মিলনীতে যে সমস্ত তৃণমূল নেতা-নেত্রী হাজির ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই জেলা সভাপতির অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না।

বিজেপি এই দুই অনুষ্ঠানকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে। জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, ২৪ ঘণ্টায় দুটো নাটক মঞ্চস্থ হল মেদিনীপুর শহরে। তোলা আদায়, কাটমানি আদায় মনে হয় কম হচ্ছে তাই দুপক্ষই মাঠে নেমে পড়েছে। বলে মত। বিজেপির জেলার সহ-সভাপতির।