Unknown Animal at Lalgarh: কোথা থেকে এল ছাগলের আধ-খাওয়া দেহ! ফের বাঘের ভয়ে সিঁটিয়ে লালগড়

Unknown Animal at Lalgarh: শুক্রবার কন্যাবলির জঙ্গল থেকে পাওয়া যায় ছাগলের আধ খাওয়া দেহ। বিভিন্ন জায়গায় মিলেছে অজানা পায়ের ছাপ।

Unknown Animal at Lalgarh: কোথা থেকে এল ছাগলের আধ-খাওয়া দেহ! ফের বাঘের ভয়ে সিঁটিয়ে লালগড়
স্থানীয়রা দেখতে পান নিখোঁজ ছাগলের দেহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2022 | 12:55 AM

লালগড় : কয়েকদিন ধরেই ভয় ধরাচ্ছে এক অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ। আর এবার জঙ্গলে মিলল আধখাওয়া ছাগলের দেহ। এলাকার একটি ভেড়াও নিখোঁজ। পরপর এই সব ঘটনা থেকেই ফের বাঘের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে লালগড়ের জঙ্গলে। লালগড়ের লক্ষণপুর, কুমিরকাতার জঙ্গল এলাকায় অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। স্বাভাবিকভাবেই তা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে।

বনদফতরের তরফ থেকে বারবার জঙ্গলে গিয়ে খোঁজ চালানো হচ্ছে ওই অজানা প্রাণীর। পায়ের ছাপের নমুনা সংগ্রহও করা হয়েছে। কিন্তু কোন জন্তুর পায়ের ছাপ তা এখনও পর্যন্ত বনদফতর জানাতে পারেনি। ওটা বাঘের পায়ের ছাপ নয় বলে প্রাথমিকভাবে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।

ছাগলের আধ-খাওয়া দেহ, কাকে দেখলেন বৃদ্ধা?

শুক্রবার কন্যাবলির জঙ্গল থেকে পাওয়া যায় ছাগলের আধ খাওয়া দেহ। বৃহস্পতিবার থেকেই কন্যাবলি গ্রামের একটি ছাগল নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার বিকেলে কন্যাবলির জঙ্গল থেকে ছাগলটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। ওই এলাকার বাসিন্দা বিমলা মাহাতো নামে এক বৃদ্ধা এ দিন দুপুরে জমিতে গিয়েছিলেন কাজে। সেই সময় এক প্রাণীকে তাঁর দিকে আসতে দেখেন তিনি। ওই বৃদ্ধা জানান, সঙ্গে সঙ্গে তিনি লোকজন ডাকতে শুরু করেন। এই চেঁচামেচিতে পালিয়ে যায় প্রাণীটি। তবে বৃদ্ধার বক্তব্য তিনি একই রকম দুটি জন্তু দেখতে পেয়েছিলেন। তবে এ বিষয়ে বনদফতরের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

এলাকাবাসী মনে করছেন বাঘ থাকতে পারে এলাকায়। তাঁদের দাবি, এলাকায় যদি হায়না বা নেকড়ে থাকত, তাহলে আগেও এই পায়ের ছাপ দেখা যেত। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে পায়ের ছাপ অস্বাভাবিক বড় বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।

বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ নীলাঞ্জন রায়চৌধুরী এই প্রসঙ্গে জানান, যে পায়ের ছাপ লালগড়ে দেখা যাচ্ছে সেটা কুকুর প্রজাতির বলেই মনে করা হচ্ছে, বিড়াল প্রজাতির নয়। ২০১৮ সালে যে ছাপ পাওয়া গিয়েছিল, তা ছিল বিড়াল প্রজাতির।

২০১৮-তেও ছড়িয়েছিল আতঙ্ক

২০১৮-তে রয়্যাল বেঙ্গল দেখা গিয়েছিল লালগড়ের জঙ্গলে। ওই বছরের ২ মার্চ লালগড়ের জঙ্গলে প্রথম রয়্যাল বেঙ্গলের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছিল। প্রথমে বন দফতর বাঘের উপস্থিতি অস্বীকার করলেও পরে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই বাঘের গতিবিধি। তারপর এক মাসের বেশি সময় ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাঘের পায় ছাপ দেখা যায়। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও বাঘকে আয়ত্তে আনতে পারেনি বন দফতর। এরপর ৩১ মার্চ শিকারিদের তাড়া খেয়ে জঙ্গলের মধ্যে গর্তে পড়ে যায় বাঘ। পরে জাল ছিঁড়ে পালায়। তারপরই সেই বাঘের দেহ পাওয়া যায় লালগড়ের জঙ্গলে। বাঘের গলায় বিঁধে ছিল বল্লম। শিকার উৎসবের সময় শিকারিদের আক্রমণেই বাঘটির মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছিল। বাঘঘোড়ার জঙ্গলে উদ্ধার হয় সেই বাঘের দেহ।

আরও পড়ুন : Diamond Harbour Model: নমুনা পরীক্ষায় লম্বা লাফ! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেলে’ মান্যতা স্বাস্থ্য ভবনের?