Road Damage: প্রশাসনের অপেক্ষায় আর কতদিন? ইট-পাথর নিয়ে রাস্তায় নামলেন গ্রামবাসীরাই

Road Damage: দীর্ঘদিন ধরে দাসপুরের ওই রাস্তার বেহাল অবস্থা। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

Road Damage: প্রশাসনের অপেক্ষায় আর কতদিন? ইট-পাথর নিয়ে রাস্তায় নামলেন গ্রামবাসীরাই
রাস্তা সারাচ্ছেন গ্রামবাসীরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2022 | 11:45 AM

দাসপুর: গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার একটাই রাস্তা। সেই রাস্তায় না আছে ইঁট, না আছে পাথর। মাটির রাস্তা বৃষ্টি পড়লেই পিছল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষকে যাতায়াতের ডন্য চরম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও হয়নি। অবশেষে ইট পাথর জোগাড় করে রাস্তা মেরামত করার কাজ শুরু করলেন গ্রামেরই বাসিন্দারা। রবিবার ছুটির দিন। তাই ওই দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন পেশার মানুষ রাস্তা মেরামতের কাজে হাত লাগান। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর অঞ্চলের বড়শিমুলিয়া গ্রামের ঘটনা।

ব্লক প্রশাসনকে একাধিকবার এ বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। শেষ পর্যন্ত আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। যাঁরা ওই রাস্তা দিয়ে নিত্য যাতায়াত করেন, বর্ষাকালে তাঁদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অন্তত এক কিলোমিটার রাস্তা নিজেরাই ঠিক করার দায়িত্ব নিলেন ওই গ্রামবাসীরা। এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার এটাই একমাত্র রাস্তা। গ্রাম পঞ্চায়েতে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বড়শিমুলিয়া গ্রামের ওই রাস্তা দিয়েই দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের মহব্বতপুর, বড়শিমুলিয়া, সাগরপুর, নবীন সিমলা সহ প্রায় ৭-৮ টি গ্রামের মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। ঘাটাল কিংবা দাসপুর ব্লকে কোনও কাজে যেতে চাইলেও এটাই একমাত্র রাস্তা। বাসুদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো স্কুলগুলির পড়ুয়ারাও এই পথেই স্কুলে যায়। কাদামাটির রাস্তা দিয়ে দিনের পর দিন যাওয়া-আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে কেউ মুখ খোলেননি। দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুকুমার পাত্র রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। ওই এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার ওই অবস্থা বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েতে পর্যাপ্ত টাকা নেই, যা দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ করা যাবে। তবে এই রাস্তার ব্যাপারে জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা নিজেদের উদ্যোগে গ্রামবাসীর স্বার্থে এই কাজ করেছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাই।’