Weekend Destination: দেবের কেন্দ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ঢুকছে ভিনদেশি পাখিরা, নতুন ঠিকানায় ঢুঁ মেরে আসুন

Holiday Destination: গত কয়েক বছর ধরেই ভিন দেশ থেকে উড়ে এসে ঘাটাল পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হরিসিংহপুরের জলাশয়ে ভিড় জমাচ্ছে পরিযায় পাখির দল। আর তাদের ঘিরেই যেন উৎসবের মরশুম। 

Weekend Destination: দেবের কেন্দ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ঢুকছে ভিনদেশি পাখিরা, নতুন ঠিকানায় ঢুঁ মেরে আসুন
ভিন দেশি পাখির ভিড়Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2023 | 1:02 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: শীতের মরশুম। অনেকেই ‘উইকএন্ড ট্যুরে’ বেরিয়ে পড়েন সপ্তাহান্তের আমেজে গা ভাসাতে। একবার ঘুরেই আসুন না ঘাটালের এই গ্রামে। বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহপুর গ্রামে তো অনেকেই গিয়েছেন। সেখান থেকে বিশেষ কিছু দূরে নয়। গাড়িতে ৬ কিমি দূরে। নিরিবিলি, মনোরম পরিবেশ। যদি শহরে দূরে থেকে একদিনের জন্য কলকাতা থেকে কোথাও ঘুরতে যেতে চান, তাহলে আপনার নেক্সট ডেস্টিনেশন হতেই পারে ঘাটালের হরিসিংহপুর জলাশয়। সেখানে ইতিমধ্যেই আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাহারি পাখি। নানান প্রজাতির ঝাঁকে ঝাঁকে ভিন দেশের পাখি এসে পৌঁছেছে এখানে।   সারল হাঁস, জল পিপি, ব্রোঞ্জ উইঙ্গেড়-সহ নানান প্রজাতির পরিযায় পাখি।

পাখি দেখতে জলাশয়ে ভিড় করছেন পাখিপ্রেমী মানুষজন। একদিনের চড়ুইভাতিও হয়ে যাচ্ছে সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দারাই বলছেন পৌরসভা চাইলেই, এখানে একটা পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা যাবে।

এমনিতেই হালকা শীতের মরশুমে অনেকেই কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে একটু ‘অফ বিট’ জায়গায় একদিনের জন্য বেরিয়ে যেতে চান। সবুজে ঘেরা মাঠে, জলাশয় আর তারে বাড়তি পাওনা ‘পাখির মেলা’।

গত কয়েক বছর ধরেই ভিন দেশ থেকে উড়ে এসে ঘাটাল পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হরিসিংহপুরের জলাশয়ে ভিড় জমাচ্ছে পরিযায় পাখির দল। আর তাদের ঘিরেই যেন উৎসবের মরশুম।

স্থানীয় বাসিন্দারাই বলছেন, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত পাখিদের কলরবেই তাঁদের ঘুম ভাঙবে। আর দিনের শেষে কিচিরমিচিরে সন্ধ্যা ঘনাবে। জলাশয়ের ধারে গ্রাম্য ছাউনিওয়ালা দোকানে বাসমতী চালের ভাত আর দেশি মুরগির ঝোল, আর অ্যাম্বিয়েন্সে পাখির কলরব। উপভোগ করবেন অবশ্য়ই।

এলাকাবাসীরা  অবশ্য এটাও বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিযায়ী পাখিদের জন্য আরও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এলাকাবাসীরা নিজেরাই পাহারা দেন যাতে পাখিদের কেউ বিরক্ত না করেন। এলাকাবাসীদের দাবি, বহুদূরান্ত থেকে মানুষ যান  কেবল পাখির এই কলতান শুনতে। এমনিতেই ওই এলাকার মানুষের একটা বেশিরভাগ অংশ চাষবাসই করেন। সেক্ষেত্রে এই জলাশয়কে ঘিরে যদি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা যায়, তাহলে তাঁদের রোজগারের পথ খুলবে।