Migrnat Bird: শীত এলেই এলাকায় ভিড় করে পরিযায়ীরা, নানা রঙের পাখির সমারোহে সেজে ওঠে এলাকার জলাশয়গুলি
Medinipur: প্রত্যেক বছর শীত পড়লেই ভিন দেশ থেকে উড়ে আসে নানা পাখি। হরি সিংহপুরের জলাশয় একেবারে অন্য রূপে ধরা দেয় এই সময়। এ বছরও তার অন্যথা হচ্ছে না।
মেদিনীপুর: শীতকাল পড়লেই নানা পরিযায়ী পাখির ঢল নামে ঘাটাল পুরসভার (Ghatal Municipality) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরি সিংহপুরের জলাশয়ে। ফি বছর নভেম্বর নাগাদ নানারকমের পাখি আসতে শুরু করে। লেজার হুইসিলিং ডাক, জল পিপি ,পার্পেল হেরন-সহ নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখি ভিড় জমায় এই জলাশয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি বছর বাহারি পাখির ভিড় হয় এখানে। আর তাদের দেখতে ভিড় জমান পাখিপ্রেমীরা। তাই এই জলাশয়কে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক, দাবি তাঁদের।
প্রত্যেক বছর শীত পড়লেই ভিন দেশ থেকে উড়ে আসে নানা পাখি। হরি সিংহপুরের জলাশয় একেবারে অন্য রূপে ধরা দেয় এই সময়। এ বছরও তার অন্যথা হচ্ছে না। সবে শীতের আমেজ জেলায়। এরই মধ্যে পরিযায়ীদের আনাগোনা শুরু। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীতের কয়েকটা মাস এই পাখিদের কলরবেই তাঁদের ঘুম ভাঙে। আবার দিনের শেষে কিচিরমিচির আওয়াজ করে উড়ে যায় ওরা।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় না এই ‘অতিথি’দের জন্য। এলাকাবাসীরাই পাহারা দেন যাতে পাখিদের কোনওভাবে বিরক্ত না করা হয়। এলাকাবাসীর দাবি, বহু দূর থেকে মানুষ আসেন এই পাখি দেখতে। তাই এই জলাশয় ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
যদিও এ বিষয়ে ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা বলেন, “প্রত্যেক বছর এই সময় পরিযায়ী পাখি আসে। আমাদের খুব ভাল লাগে। প্রচুর মানুষ আসেন বিভিন্ন জায়গা থেকে এই পাখি দেখার জন্য। পুরসভার তরফ থেকে নজরদারি চালানো হয় পাখিগুলিকে যাতে কেউ বিরক্ত না করে।” স্থানীয় বাসিন্দা পরিচয় মাইতি জানান, গত কয়েক বছর ধরে এই পাখিগুলি এলাকায় আসছে। শীতের সময় একটা অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়। এলাকায় খাল, বিল, জলাশয়গুলিতে নানারকমের পাখির ভিড় হয়। প্রশাসন যদি এলাকার জলাশয়গুলির সংস্কার করে তা হলে কে বলতে পারে এই এলাকাই একদিন পর্যটকদের আকর্ষনের স্থান হতে পারে।