Child Marraige: আচমকা থামল সানাইয়ের সুর, ছাতনাতলা থেকে শ্রীঘরে বর
Child Marraige: প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায় উত্তর দিনাজপুরে। সেইবার চাইল্ড লাইন আটকে দিয়েছিল দশম শ্রেণিতে পড়া এক নাবালিকার বিয়ে।
ঘাটাল: লাগাতার সচেতনতামূলক প্রচার, প্রশাসনিক কড়াকড়ির পরেও হচ্ছে না কাজ। নাবালিকাদের বিবাহ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হলেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতি বছরই বাংলায় বিয়ে হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কিশোরীদের। স্কুলের গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই বেজে যাচ্ছে বিয়ের সানাই। শনিবার রাতে এরকমই এক বিয়ের আসর বসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার বনহরিসিংপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, ঘাটালের গোপমহল মনোহরপুর এলাকার ১৬ বছর বয়সী এক নাবালিকা পাত্রীর বিয়ের আসর বসেছিল সনৎ চক্রবর্তী নামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। কিন্তু, খবর চলে যায় পুলিশে। ঘাটাল থানার পুলিশ এসে একেবারে ছাতনাতলা থেকে পাত্র সহ তাঁর বাবা-কাকা ও পুুরোহিতকে গ্রেফতার রে থানায় নিয়ে গেল।
সূত্রের খবর, সনৎবাবুই ছিলেন এই বিয়ের পুরোহিত। নাবালিকা বিয়ের খবর পেয়ে রাতেই বাঘানালার বিবাহবাসরে গিয়ে হানা দেন ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিক সহ ঘাটাল থানার পুলিশকর্মীরা। ছাতনাতলা থেকে পাত্র পার্থ গুছাইত সহ পিতা অশোক গুছাইত, কাকা হারাধন গুছাইত এবং এই বিয়ের পুরহীত সনৎ সক্রবর্তীকে পাকড়াও করে পুলিশ। পাত্রীর প্রকৃত বয়স যাচাই করে ধৃত চারজনকে গ্রেফতার করে এদিন ঘাটাল আদালতে তোলা হয়। তাঁদের সকলেরই দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নাবালিকার বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ জেনেও ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায়শই শোনা যায় নাবালিকাদের বিয়ের কথা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। এদিকে এবার ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটায় তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার নাগরিক মহলে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায় উত্তর দিনাজপুরে। রাধিকাপুর পঞ্চায়েত ফরিদপুর এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল পরিবার। বসেছিল বিয়ের আসর। বরযাত্রীরাও আসতে শুরু করেছেন। তখনই আচমকা বিয়েবাড়িতে হানা দেয় পুলিশ সহ চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা। আটকে যায় বিয়ে।