Relationship Problem: হয় বিয়ে করো, না হলে জেলে ঢুকে শাস্তি ভোগ করো… প্রেমিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে ধরনায় বসলেন যুবতী

Medinipur: জানা গিয়েছে, ওই যুবতী বিবাহিত। সন্তানও রয়েছে। ফেসবুকে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয়। যুবক সেনাবাহিনীতে কাজ করেন।

Relationship Problem: হয় বিয়ে করো, না হলে জেলে ঢুকে শাস্তি ভোগ করো... প্রেমিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে ধরনায় বসলেন যুবতী
ধরনায় বসলেন তরুণী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 8:59 PM

মেদিনীপুর: প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন প্রেমিকা। দাবি একটাই, ‘বিয়ে করতে হবে’। অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই তাঁরা প্রেম করছেন। অথচ ওই যুবককে বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসেন। ওই যুবকের পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণভাবে তাদের ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও ওই যুবতী মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই পুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। মেয়েটির বাড়ি চন্দ্রকোণাতেই। রবিবার সকালে ওই যুবতী ক্ষীরপাইয়ে হাজির হন। গলায় প্ল্যাকার্ড ঝোলানো। তাতে লেখা, ওই যুবকের তাঁকে বিয়ে করতেই হবে। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ধরনা চলবে। এদিকে এই দৃশ্য দেখে উপচে পড়েন এলাকার ভিড়। ছুটে আসেন পড়শি গ্রামের লোকজনও। খবর দেওয়া হয় থানায়। আসে পুলিশও। যদিও নিজের দাবিতে অনড় ওই যুবতী স্পষ্ট জানান, এর সমাধান না হলে ওই যুবকের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

জানা গিয়েছে, ওই যুবতী বিবাহিত। সন্তানও রয়েছে। ফেসবুকে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয়। যুবক সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। ওই যুবতীর দাবি, আট বছরের সম্পর্ক তাঁদের। তবে মেয়েটির বাড়িতে জানাজানি হতেই অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল। তবে তাতেও এই প্রেম নষ্ট হয়নি। ওই যুবতীর অভিযোগ, “আড়াই লক্ষ টাকা, ৬ ভরি সোনা নিয়েছে আমার কাছ থেকে। এরপর আমাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাইকে বসিয়ে সেখান থেকে ফেলে মারার চেষ্টা করে। গোঘাট থানা এলাকায় ঘটনাটা ঘটে। আমার চিৎকার শুনে সবাই ছুটে এলে ও সকলকে বলে, আমি ওর স্ত্রী। অথচ এরপর ও আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি।”

যুবতীর অভিযোগ, “আমাকে এখন হুমকি দিচ্ছে মুখ খুললে মার্ডার করে দেবে, ফেসবুকে ছবি ছেড়ে দেবে। আমি পুলিশকেও জানিয়েছি। ও আর্মিতে কাজ করে। আমার সঙ্গে ৮-৯ বছরের সম্পর্ক। আমার ক্ষতি করে দিয়ে এখন আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। ও যদি আমাকে গ্রহণ করে ওর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করেছি, তা তুলে নেব। না হলে ওর শাস্তি চাই। আমার সঙ্গে প্রেম করেছে।”

যদিও ওই যুবকের দিদির দাবি, “একেবারেই দীর্ঘদিনের সম্পর্ক নয়। ছ’ মাস কী এক বছর কথা বলে হয়ত। ফেসবুক থেকে নম্বর নিয়েছে। প্রথমে বলেছিল, আইবুড়ো। এরপর সম্পর্ক এগোনোর পর বলছে, বিয়ে হয়েছে আগে। ওর ৬ বছরের বাচ্চা আছে। এরপর ভাই কথা বন্ধ করে দেয়। তাই ভাইকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ভাই আর্মিতে কাজ করে। সেই লোভে ফাঁসাচ্ছে। ভাইয়ের যা টাকা পয়সা সবটা শুষে নিয়ে নিয়েছে। ওর স্বামীই বলেছে, এভাবে আরও একাধিক ছেলেকে ও ফাঁসিয়েছে।”