Medinipur: হঠাৎই ফেসবুকে পোস্ট করে পদ থেকে ইস্তফা মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যানের, জোর আলোচনা

মেদিনীপুর: সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের ইস্তফার কথা জানালেন মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। হঠাৎই রবিবার একটি পোস্ট করে শিক্ষক নেতা কৃষ্ণেন্দু বিষই জানিয়ে দেন, তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। যা ঘিরে মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। গত বছর সেপ্টেম্বরে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ ২১টি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নতুন চেয়ারম্যানের নাম […]

Medinipur: হঠাৎই ফেসবুকে পোস্ট করে পদ থেকে ইস্তফা মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যানের, জোর আলোচনা
কৃষ্ণেন্দু বিষই। ছবি ফেসবুক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 10:04 PM

মেদিনীপুর: সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের ইস্তফার কথা জানালেন মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। হঠাৎই রবিবার একটি পোস্ট করে শিক্ষক নেতা কৃষ্ণেন্দু বিষই জানিয়ে দেন, তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। যা ঘিরে মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। গত বছর সেপ্টেম্বরে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ ২১টি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করে। এর আগে কৃষ্ণেন্দু প্রাইমারি বোর্ডের সরকারি প্রতিনিধি ছিলেন বলেও সূত্রের খবর। সেই কৃষ্ণেন্দু চেয়ারম্যান হওয়ায় বেশ চর্চাও হয়।

কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণেন্দু বিষইয়ের প্রোফাইলে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘চেয়ারম্যান ডিপিএসসি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম এবং ইস্তফা দিলাম।’ তবে কেন ইস্তফা দিলেন তিনি, তার উত্তর পাওয়া যায়নি। কৃষ্ণেন্দু বিষইকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। তবে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, “শুনেছি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্তফার কথা লিখেছেন। ঠিক কেন ইস্তফা দিলেন সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে।” চন্দ্রকোণা রোডের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু। তাঁর সোশাল মিডিয়ার প্রোফাইলেই স্পষ্ট রাজনৈতিক সচেতনতা। শাসকদলের একাধিক নেতার সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে সেখানে। হঠাৎই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে জোর আলোচনা।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নানা চাপানউতর রাজ্যজুড়ে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটছে তা বারবারই শিরোনামে উঠে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে পর্যন্ত পদ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, সেই জায়গায় নতুন সভাপতি নিয়োগের ভার দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।

মূলত ২০১৪ সালে টেট নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। ২০১৫ সালে ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী টেট দেন। ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তার ফল প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, এই প্যানেলের এক বছর পর ২০১৭ সালে আরও একটি অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হয়। প্রাইমারি বোর্ড জানায়, উত্তরপত্রে ১ নম্বর বাড়ানো হয়। সে কারণেই ফের প্যানেল প্রকাশ। কারণ, হিসাবে দেখানো হয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন ভুল ছিল। অভিযোগ, এই ১ নম্বর পান ২৭৩ জন। আদালত জানতে চায়, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র এই ক’জনকে কেন এই নম্বর দেওয়া হল? দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশের কারণ কী ছিল? নম্বর বাড়ানো, নতুন প্যানেল ঘোষণার বিষয়ে কেন কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল না? বোর্ডের উত্তর সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়ায়, তদন্তের ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।