West Midnapore : কাটতে এসেছিল গাছ, বাধা দেওয়ায় কাটারির কোপ মহিলাকে, কাঁঠাল গাছ কাটা নিয়ে রক্ত ঝরল চন্দ্রকোণায়
West Midnapore : কাঁঠাল গাছের একটি ডাল কাটা নিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড বাঁধল চন্দ্রকোণায়। জখম মহিলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চন্দ্রকোণা : মানুষ এতটাই অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে যে বর্তমানে সাধারণ কাঁঠাল গাছ কাটাকে কেন্দ্র করেও রক্তারক্তি কাণ্ড বাঁধে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার খুড়শি গ্রামের ঘটনা। সেখানে কাঁঠাল গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে প্রথমে বচসা বাঁধে। তারপর তা রক্তারক্তি অবধি চলে যায়। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন এক মহিলা। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খুড়শি গ্রাম। এই গ্রামেরই বাসিন্দা সামেরা খাতুন। বয়স ৫০ বছর। তাঁর বাড়িতে একটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। গোটা ঘটনা এই কাঁঠাল গাছকে ঘিরেই। কাঁঠাল গাছের একটি ডাল অন্য বাড়িতে একটু ঝুলে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা কাঁঠাল গাছের এই ডালই কাটতে যান প্রতিবেশী মহাজ্জয়া বিবি। সেই সময় এই কাজে বাধা দেন সামেরা খাতুন। তাঁর বাধা দেওয়ার ফলেই দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। তারপর পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। সামেরার পরিবার অভিযোগ তোলেন, মহাজ্জায় বিবির হাতে কাটারি আগে থেকেই ছিল। সেই কাটারি দিয়ে তিনি কোপ বসাতে শুরু করেন সামেরা খাতুনের উপর। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে চন্দ্রকোণা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে তাঁকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনি ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় জখম মহিলার ছেলে সফিউল্লাহ খান চন্দ্রকোণা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মহিলার মেয়ে আমিনা বেগম বলেছেন, “আমাদের কাঁঠাল গাছ। ওদের দিকে একটু ঝুলে গিয়েছিল। সেটা কাটছিল। বারণ করতে গেছে। তারপর এই কাণ্ড ঘটে।”