মুকুলের নামেও পড়ল পোস্টার, লেখা- “আমরা দাদার অনুগামী”

হাওড়ায় দাদার অনুগামীরা নিজেদের পোস্টারে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জিকেও স্থান দিয়েছেন। যেহেতু তিনিও বর্তমানে বিক্ষুব্ধদের তালিকাতেই রয়েছেন, তাই সেটাও হজম করতে সমস্যা হয়নি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুকুল রায়!

মুকুলের নামেও পড়ল পোস্টার, লেখা- আমরা দাদার অনুগামী
মুকুলের নামেও পড়ল পোস্টার, লেখা- "আমরা দাদার অনুগামী"
Follow Us:
| Updated on: Dec 12, 2020 | 11:07 PM

শিলিগুড়ি: ‘আমরা দাদার অনুগামী’। বিগত কয়েক মাসে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছে এই ক’টি শব্দ। যেখানই দাদার অনুগামীদের পোস্টার, সেখানেই শাসকদলের অন্দরে গেল গেল রব উঠছে। এই অনুগামীরা অবশ্য কোন দাদার সেটা এতদিনে সবাই জেনে গিয়েছেন। তবে এদিন এক নতুন ‘দাদার অনুগামীদের’ পোস্টার দেখা গেল শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরে। এই দাদা আর কেউ নন, খোদ বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)।

শুনতে অবাক লাগলেও শনিবার শিলিগুড়ি শহরের একাধিক জায়গায় এই পোস্টার পড়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘মুকুল তোমার হাত ধরে, পদ্ম ফুটুক ঘরে ঘরে।‘ তার নীচে বিজেপির প্রতীক। সঙ্গে লেখা, ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন হোক বাংলায়।‘ শেষে সেই মোক্ষম লাইন, ‘আমরা দাদার অনুগামী।‘ পোস্টারের নীচে অবশ্য সৌরভ প্রসন্ন দে (মনা) নামক জনৈক ব্যক্তির সৌজন্য দাবি করা হয়েছে।

শনিবার শিলিগুড়ি শহর জুড়ে এই পোস্টার ছেয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই শহরবাসীর মনে প্রশ্ন জাগে, হচ্ছেটা কী? এতদিন শুভেন্দু অধিকারী শিবিরের লোকজন নিজেদের দাদার অনুগামী বলে পরিচয় দিয়ে এসেছেন। শিলিগুড়িতেও দাদার অনুগামীদের পোস্টার পড়েছিল। এমনকী এদিন হাওড়ায় দাদার অনুগামীরা নিজেদের পোস্টারে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জিকেও স্থান দিয়েছেন। যেহেতু তিনিও বর্তমানে বিক্ষুব্ধদের তালিকাতেই রয়েছেন, তাই সেটাও হজম করতে সমস্যা হয়নি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুকুল রায়!

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর পাশে রাজীব, হাওড়ায় পোস্টার মারল ‘দাদার অনুগামীরা’

এই বিষয়ে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে খোলসা করে কিছুই বলা হয়নি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গ জ়োনের ইনচার্জ সায়ন্তন বসু এই পোস্টার ইস্যুতে বলেন, “মুকুলদার নাম বা ছবি দিয়ে ব্যানার এই প্রথম নয়। আগেও মুকুলদার অনুগামীদের ছাপানো এই ধরনের ব্যানার দেখা গিয়েছে। এ কথা ঠিকই যে, এটা আমাদের দলের সংস্কৃতি নয়। তবে যাঁরা এগুলো করছেন, আমরা তাঁদের বিরোধিতাও করছি না। কারণ এটা তাঁদের আবেগের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। তাঁরা তো দলে নতুন। দলের সংস্কৃতি বুঝতে তাঁদের একটু সময় লাগছে হয়তো। এগুলো আসলে একটু ব্যতিক্রমী ঘটনা।“