ডাক্তার রিটায়ার্ড হতেই ঝাঁপ পড়ল হৈমবতীর! অথৈ জলে গ্রামবাসীরা
ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক বছর শেষে রিটায়ার্ড হন। তাই কাজ ফুরোয় কম্পাউন্ডারেরও। অগত্যা তালা পড়ে ঐতিহাসিক প্রাচীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।
জামালপুর: বছরটা যেতেই টিম টিম করে জ্বলা প্রদীপের আলোও নিভে গেল। অন্ধকার ঘনাল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পাঁচড়া গ্রামে। হবে নাই বা কেন? ওই গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবায় সবেধন নীলমণি বলতে হৈমবতী দাতব্য চিকিৎসালয়। বছরের শেষ দিনে ঝাঁপ পড়ল ১০৩ বছরের পুরনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন পূর্ব বর্ধমানের কমপক্ষের ২০-২২টি গ্রামের মানুষ।
হৈমবতী দাতব্য চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক ছিলেন মোটে এক জন। কমপাউন্ডারও একজন। তা বলে রোগীর অভাব ছিল না। প্রতিদিন পাঁচড়া পেরিয়ে দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে আসতেন প্রচুর মানুষ। ওই একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর ভরসা ২০-২২টি গ্রামের। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভৌগলিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলে এমনটা দাঁড়ায়, এখান থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে মেমারি হাসপাতাল। ৩০ কিলোমিটার দূরে মেডিক্যাল কলেজ। তার মাঝে আর কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে আড়াইশো থেকে তিনশো রোগী হয় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তবুও কেন ঝাঁপ বন্ধ হল?
আরও পড়ুন- শুধু সিপিএম নয় জনসাধারণের কমিটিও দায়ী ছিল, নেতাইয়ে বললেন শুভেন্দু
ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক বছর শেষে রিটায়ার্ড হন। তাই কাজ ফুরোয় কম্পাউন্ডারেরও। অগত্যা তালা পড়ে ঐতিহাসিক প্রাচীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। এরফলে অসুবিধায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার মেমারি তারকেশ্বর রোডের চৌবেড়িয়ার বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। সকাল থেকে অবরোধের জেরে জনজট তৈরি হয়। শেষমেশ পুলিস-প্রশাসনের তৎপরতায় অবরোধ ওঠে। ব্লকের জয়েন্ট বিডিও গৌতম দত্ত আশ্বাস দেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত এর ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।