Cow Smuggling: নাকা চেকিং করতেই উদ্ধার রহস্য, ৫৩টি গরু সমেত আটক লরি
Katwa: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মঙ্গলকোট এলাকার ঘটনা। নাকা চেকিংয়ের সময় লরি ভর্তি গরু দেখে গাড়িটিকে থামায় পুলিশ।
মঙ্গলকোট: গরু পাচার নিয়ে এত কাণ্ড। পাচার কেলেঙ্কারিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু তারপরও কি বন্ধ হয়েছে পাচার? উত্তর নাহ! বিভিন্ন জেলাগুলি থেকে উঠে এসেছে নিত্য নতুন পাচারের কৌশল। কখনও দুধের গাড়িতে, কখনও কলার ভেলা ভাসিয়ে পাচারের ঘটনা ঘটেছে। এই সবের মধ্যেই এবার কাটোয়ায় গরু বোঝাই লরি আটক করল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। একসঙ্গে প্রায় ৫৩ গরুকে বীরভূমের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার ৪ জন।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মঙ্গলকোট এলাকার ঘটনা। নাকা চেকিংয়ের সময় লরি ভর্তি গরু দেখে গাড়িটিকে থামায় পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তখনই ওই চার ব্যক্তির কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। একই সঙ্গে কোনও বৈধ নথিপত্রও দেখাতে পারেননি তাঁরা। এরপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বাড়ি বীরভূমের লাভপুর থানার কুসুমগড়িয়া গ্রামে। মোট ৫৩টি গরুকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক হয় লরিটি। ধৃতদের কাটোয়া আদালতে তোলা হয়েছে। ঠিক কী উদ্দেশে ওই গরুগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘গাড়িটা বীরভূমের উদ্দেশে যাচ্ছিল। গাড়ির ভিতরে ৫৩টি গরু ছিল। পুলিশ বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায়। ওরা দেখাতে পারেনি। পুলিশ গরুগুলিকে এনে কিষাণমান্ডিতে রেখে দিয়েছে। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
বস্তুত, কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর মুরাদপুর বা ফরাজিপাড়া এলাকা থেকে নদীতে একটি বাছুরটিকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল পাচারের উদ্দেশে। আর পদ্মা নদী দিয়ে ভেসে যাওয়া সেই গরু সংগ্রহ করা হত বাংলাদেশে। তার কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ায় দুধের গাড়ির ভিতর গরু পাচার করা হয়। শুধু পুরুলিয়া বা মুর্শিদাবাদ নয় জেলায়-জেলায় এইভাবে পাচারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।