Burdwan: ‘৫ মিনিটের মধ্যে বর্ধমানের সব CPIM পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দিতে পারি’, হুঁশিয়ারি TMC বিধায়কের
Burdwan: শনিবার বিকেলে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে একটি সভা করা হয় তৃণমূলের তরফে। ওই সভা থেকে ফের একবার তৃণমূলের নিশানায় সিপিএম। হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল বিধায়ক খোকন দাসের গলায়।
বর্ধমান : কিছুদিন আগেই বামেদের আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড তৈরি হয়েছিল বর্ধমানে। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে বাম কর্মী ও সমর্থকরা এগোতে চেষ্টা করতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। চলে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। রণক্ষেত্র তৈরি হল এলাকা। উপড়ে ফেলা হয় বিশ্ব বাংলার লোগো। ওই ঘটনার পর বর্ধমানের নীলপুর ও দেওয়ানদীঘি এলাকায় সিপিএম-এর দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল তৃণমূলের দিকে। এমন এক তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার বিকেলে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে একটি সভা করা হয় তৃণমূলের তরফে। ওই সভা থেকে ফের একবার তৃণমূলের নিশানায় সিপিএম। হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল বিধায়ক খোকন দাসের গলায়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, প্রদীপ মজুমদার ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার বিকেলের সভা থেকে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “আমাদের নেত্রী শান্তির প্রতীক। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তির প্রতীক। তাই তিনি আমাদের বার বার বলেন, ঝামেলা করবেন না, গন্ডগোল করবেন না। বাংলাকে আমরা শান্তিতে রাখতে চাই। নাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বর্ধমান শহরের সিপিএমের সব পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দিতে পারি।” তিনি আরও বলেন, “সিপিএম নতুন খেলা শুরু করেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম রাজ্যের যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। ৩১ অগষ্ট জেল ভরো আন্দোলনের কথা বলে বর্ধমানে… গোটা শহরে একটা ইটের টুকরো পাবেন না… কিন্তু সেদিন বস্তা বস্তা পাথর ইট নিয়ে এসেছে।”
অন্যদিকে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও এদিন সভা থেকে আক্রমণ শানান সিপিএম শিবিরকে। তিনি বলেন, “হাঁটা শুরু করলে সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। চোরের মায়ের বড় গলা। এক সময়ে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে সব সিপিএমের লোকেরা চাকরি পেয়েছেন।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে বামেদের আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তারপর শনিবার এই সভা থেকে তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।