BJP leader Jay Banerjee: ‘নাড্ডাজির কথাতেই ফিরেছি’, সেকেন্ড ইনিংস শুরু করলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
BJP leader Jay Banerjee: প্রসঙ্গত, কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ অঞ্চলে পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন জয়। সেখান থেকেই সায়নী ঘোষকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।
কাটোয়া: স্বেচ্ছা ছেড়েছিলেন রাজনীতি। ফের স্বেচ্ছাতেই ফিরলেন রাজনীতির ময়দানে। শনিবার কাটোয়া থেকে বিজেপিতে সেকেন্ড ইনিংস শুরু করলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (BJP leader Jay Banerjee)। দীর্ঘদিন পর তাঁকে দেখা গেল ভোটের প্রচারে। ময়দানে নেমেই শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাগলেন একের পর এক তোপ। কটাক্ষ করলেন দুর্নীতি নিয়ে। আক্রমণ করলে সায়নী ঘোষকেও (Sayani Ghosh)।
প্রসঙ্গত, কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ অঞ্চলে পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন জয়। সেখান থেকেই সায়নীকে আক্রমণ করে বলেন, “ও তো খুব চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলে। এখন কুন্তলের সঙ্গে ওর প্রত্যক্ষ যোগ পাওয়া গিয়েছে। ওর সঙ্গে মিশত। জড়িত ছিল গোটা ঘটনা। আমার মনে হয় খুব শীঘ্রই ভিতরে ঢুকবে।” এদিকে ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে লাগাতার টানাপোড়েন চলতে দেখা যায়। এমনকী বাহিনী এলেও কোথায় কোথায় বাহিনী মোতায়েন হবে, কাজ কী হবে তা নিয়েও চলে চাপানউতর। এদিন সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি নেতা।
জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ২টো বড় ভোট লড়েছি। দুটোতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কিন্তু, ওদের যারা গাইড করে তা রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশ যদি সাহায্য না করে তা হলে ওদের কাজ করা মুশকিল। তবে এবারে রাজ্য একটা কড়া রাজ্যপাল পেয়েছে। তাতে খানিকটা স্বস্তি। উনি পিস সেন্টার খুলেছেন। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থাও নিচ্ছেন।” কিন্তু, এতদিন কোথায় ছিলেন তিনি? কেন দেখা যাচ্ছিল না? উত্তরে জয় বলেন, “উনিশে আমি উলুবেড়িয়ায় মারাত্মক মার খেয়েছিলাম। মেরে আমার ফুসফুস ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলাম। এরমধ্যে গত বছর আমার বাবা গত হয়েছে। তারপর থেকে আমি দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম দল ছেড়ে দেব। কিন্তু, নাড্ডাজির কথাতেই ফের ফিরেছি ময়দানে।”