Panchayat Elections 2023: যত কাণ্ড আউশগ্রামে, তৃণমূল নেত্রী বিজেপি প্রার্থী হতেই রাম ছেড়ে বামে নেতা-কর্মীরা, CPIM প্রার্থীর হয়ে চলছে জোরদার প্রচার
Panchayat Elections 2023: সোমা আঁকুড়েকে বিজেপি প্রার্থী করতেই সদলবলে দল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছেন অমরপুর অঞ্চলের বিজেপির ১৭ নম্বর বুথ সভাপতি সঞ্জয় দাস।
আউশগ্রাম: দীর্ঘদিন থেকে কাজ করেছেন তৃণমূলের হয়ে। ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) হয়ে ভোটেও (Panchayat Election) দাঁড়িয়েছিলেন। জিতেও ছিলেন। কিন্তু, এবার আর দল টিকিট দেয়নি। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তিনি। সোজা চলে গিয়েছেন বিজেপিতে (BJP)। পদ্ম শিবিরের হয়ে ভোটেও লড়ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সোমা আঁকুড়ে। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে যত বিতর্ক। এদিকে সোমা আঁকুড়েকে কিছুতেই দলে মেনে নিতে পারছেন না এলাকার বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা। যোগ দিয়েছেন সিপিএমে (CPIM)। বর্তমানে সিপিএম প্রার্থীর হয়েই এলাকায় জোরকদমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
সোমা আঁকুড়েকে বিজেপি প্রার্থী করতেই দল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছেন অমরপুর অঞ্চলের বিজেপির ১৭ নম্বর বুথ সভাপতি সঞ্জয় দাস। তাঁর সঙ্গেই দল ছেড়েন অনেক কর্মী সমর্থক। এদিকে ওই বুথে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন শিউলি বাগদি। তাঁর সমর্থনেই বর্তমানে সদলবলে দেওয়াল লিখন, “প্রচার চালাচ্ছেন সঞ্জয় দাস। তাঁর স্পষ্ট দাবি, সোমা বাইরের লোক। ওর বাড়িও এখানে নয়। বিষ্ণুপুরে। গ্রামের কাউকে প্রার্থী করা উচিত ছিল। তা না করে ওকে প্রার্থী করা হয়েছে। তার উপর ও আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিল। আমারা এটা মেনে নিতে না পেরেই সিপিএমে যোগ দিয়েছি।”
অন্যদিকে সোমা আঁকুড়ে বলছেন, “আমি দল করতে ভালবাসি। তৃণমূল থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে আগে জিতেছিলাম। কিন্তু, এবার দলই আর টিকিট দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বিজেপির হাত ধরেছি।” অন্যদিকে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পূর্ব বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলছেন, “সঞ্জয় দাস এখন বিজেপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। সিপিএমের কালচার মেনেই ও এসব করছে। আসলে ওর গণতন্ত্র সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই। তাই এসব করছে।”
এই আসনে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ছেন রেখা বাগদি। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তৃণমূলও। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, দলের উপর মহলের নেতারা যাকে যোগ্য মনে করেছে তাঁকেই প্রার্থী করেছে। এতে তাঁদেরও সমর্থন রয়েছে। তাঁর সাফ দাবি, “আমরাই ওখানে জিতব।” তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বামেরাও।