Kalna: ‘বেইমানরা’ বুথে গেলে ‘লাঠি-ঝাঁটা-মুড়ো’ নিয়ে তাড়ানোর নিদান বিজেপি নেতার
BJP vs TMC: বিজেপি নেতা বললেন, "বেইমানরা যখন বুথে যাবে, লাঠি-ঝাঁটা-মুড়ো নিয়ে তাড়া করবেন। তবেই বিজেপি শক্তিশালী হবে।"
কালনা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election 2023)। আর তার আগে শুরু হয়ে গিয়েছে তপ্ত বাক্য বিনিময়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনাও ঘটছে। এবার বিজেপির (BJP) কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সহসভাপতি ধনঞ্জয় হালদারের গলায় শোনা গেল লাঠি, ঝাঁটা, মুড়ো নিয়ে তৈরি থাকার নিদান। মঙ্গলবার কালনা ১ ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে এক পথসভা থেকে বিজেপি নেতা বলেন, “মা বোনেরা বুথে বুথে ঝাঁটা, লাঠি, কোদাল, খুন্তি, নোড়া নিয়ে তৈরি থাকুন। আগ্নেয়াস্ত্রর দরকার নেই। অত্যাচারী, স্বৈরাচারি, ব্যাভিচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রুখে দাঁড়ান। বেইমানরা যখন বুথে যাবে, লাঠি-ঝাঁটা-মুড়ো নিয়ে তাড়া করবেন। তবেই বিজেপি শক্তিশালী হবে।”
পরে অবশ্য পথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন কাটোয়ার বিজেপি নেতা। বললেন, “আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের লড়াই নয়। আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করব। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওদের আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষকে নিয়ে, লাঠি-ঝাঁটা-শিল-নোড়া এগুলি নিয়ে লড়াইয়ে নামব। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ দখল করতে এলে ঝেঁটিয়ে এদের বিদায় করব।”
পাশাপাশি, আবাস যোজনার দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়েও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিডিওকে। এদিন বিডিও অফিসে আবাস যোজনা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন বিজেপি নেতারা। বললেন, “যদি গরিব মানুষ ঘর পান, তাতে কোনও আপত্তি নেই। যদি তৃণমূলের কোনও নেতা, যিনি যোগ্য, তাঁকেই দিন। কিন্তু যাঁর ছাদযুক্ত বাড়ি আছে, তাঁর নাম যেন কিছুতেই তালিকায় না থাকে। এমন যদি হয়, তাহলে আমরা বিডিওকে আটকে রাখব। কারণ, স্থানীয় স্তরে শেষ অনুমোদন বিডিও দেবেন।”
বিজেপি নেতার এই লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকার নিদানে পাল্টা দিয়ে কালনার তৃণমূল ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোরেল জানান, “অস্থিরতা তৈরি করার জন্য এসব বলছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করতে চাইছে এরা।” এর পাশাপাশি বিডিওকে নিয়ে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, সেই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, “যাঁরা বিজেপি করে, তাঁরা রাজনীতির অযোগ্য। রাজনীতির কৃষ্টি-সংস্কৃতি, কাকে কী বলা দরকার… তা ওরা জানে না। একজন বিডিওকে এভাবে বলছে।”