Joynagar TMC Leader Murder: জয়নগরে তৃণমূল নেতার খুনের অভিযোগে CBI তদন্ত চাইছে বিজেপি

Locket Chatterjee: এবার জয়নগরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন হুগলির সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বগটুইয়ের ঘটনায় যেমন সিবিআই তদন্ত চলছে, তেমন জয়নগরের ক্ষেত্রেও সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার দেওয়া হোক।

Joynagar TMC Leader Murder: জয়নগরে তৃণমূল নেতার খুনের অভিযোগে CBI তদন্ত চাইছে বিজেপি
লকেট চট্টোপাধ্যায়Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2023 | 2:57 PM

কাটোয়া: জয়নগরে জোড়া খুনের অভিযোগ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এরপর গণপিটুনিতে এক দুষ্কৃতীরও মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার ভোরের ওই ঘটনার পর কার্যত তাণ্ডব চলেছে। একের পর এক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যেই এবার জয়নগরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন হুগলির সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বগটুইয়ের ঘটনায় যেমন সিবিআই তদন্ত চলছে, তেমন জয়নগরের ক্ষেত্রেও সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার দেওয়া হোক।

উল্লেখ্য, জয়নগরের এই ভয়ঙ্কর ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা সরাসরি দাবি করেছেন, ‘সিপিএম-বিজেপি আশ্রিত সমাজ বিরোধীরা’ তাঁদের দলীয় নেতাকে গুলি করে খুন করেছে। এমনকী ঘটনার সিআইডি তদন্তের পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন তিনি। এবার পাল্টা দিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর স্পষ্ট দাবি, সিআইডি নয়, সিবিআই তদন্ত হোক।

মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে এসেছিলেন লকেট। সেখান থেকেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে কার্যত তুলোধনা করলেন বিজেপি সাংসদ। বললেন, “৩০ শতাংশ ভোটের নাম করে শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করা হয়েছে। কোনও উন্নয়ন হয়নি। রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করা হচ্ছে, ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা কোনওদিন সিআইডির মাধ্যমে উদ্ঘাটিত হবে না। আমরা চাই, বগটুইয়ের মতো এখানেও সিবিআই তদন্ত হোক। পুলিশমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ।”

প্রসঙ্গত, জয়নগরের ঘটনায় তৃণমূল বিরোধীদের দিকে আঙুল তুললেও, এই এলাকায় শাসক দলের কার্যত একচ্ছত্র দাপট। এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও সবুজ আবিরই উড়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল। শাসক দলের এমন শক্ত ঘাঁটিতে এমন কাণ্ড কীভাবে ঘটাতে পারল বিরোধী শিবির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা? সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।