Blue Coated Road: এবার বাংলায় রাস্তাও ‘নীল-সাদা’, তৈরি হল কেজি কেজি প্লাস্টিক দিয়ে
Blue Coated Road: বিটুমিনাসের সঙ্গে বর্জ্য-প্লাস্টিক মেশানো হয়েছে এই রাস্তা তৈরির জন্য। এর সঙ্গে মেশানো হয়েছে থার্মো প্লাস্টিকের নীল রঙ ও রাসায়নিক। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনস্ত ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অব গ্রাম পঞ্চায়েত (আইএসজিপি) সেলের উদ্যোগে এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।
মেমারি: এবার রাস্তাও ‘নীল-সাদা’। বাস্তবেই ‘নীল-সাদা’ রঙের রাস্তা। নীল রাস্তা, সঙ্গে দু’পাশে সাদা রঙের বর্ডার। প্রায় সাড়ে তিনশো মিটার লম্বা এই নীল-সাদা রাস্তার দর্শন পেতে আপনাকে যেতে হবে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। মঙ্গলবারই মেমারি ২ ব্লকের সাতগাছিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে উদ্বোধন হয়েছে এই নীল-সাদা রাস্তার। আরও অবাক করে দেওয়া বিষয় হল, এই নীল-সাদা রাস্তা বানানো হয়েছে বর্জ্য-প্লাস্টিক ব্যবহার করে। জানা যাচ্ছে, প্রায় ২৪০ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার হয়েছে এই রাস্তা তৈরির কাজে।
বিটুমিনাসের সঙ্গে বর্জ্য-প্লাস্টিক মেশানো হয়েছে এই রাস্তা তৈরির জন্য। এর সঙ্গে মেশানো হয়েছে থার্মো প্লাস্টিকের নীল রং ও রাসায়নিক। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অব গ্রাম পঞ্চায়েত (আইএসজিপি) সেলের উদ্যোগে এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশনের থেকে বরাদ্দ করা অর্থে মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় ওই ‘নীল-সাদা’ রাস্তা তৈরি হয়েছে। মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা (৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা)। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার পথে এই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি রাস্তা এক নতুন দিশা দেখাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মঙ্গলবার এই রাস্তার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
আইএসজিপি সেলের কো-অর্ডিনেটর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করে কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে, কীভাবে সেগুলিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা যায়, সেই ভাবনা থেকেই এই উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। বর্জ্য প্লাস্টিককে আবার পুনর্ব্যবহার করে প্লাস্টিক কোটেড হিসেবে ব্যবহার করার ফলে রাস্তার খরচ কমবে। পিচের উপর প্লাস্টিকের কোটিং থাকার ফলে বেশি জল সহ্য করতে পারবে রাস্তা। ফলে রাস্তার স্থায়িত্বও অনেকটা বাড়বে। নীল কোটেড থাকার ফলে এটি অনেকটা পরিবেশবান্ধব হবে।’
আইএসজিপি সেলের কো-অর্ডিনেটরের দাবি, দেশে একমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই এই ধরনের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এটা অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ ব্লকের উচালন এলাকায় বানানো হয়েছিল এই রাস্তা। তারপর এ বছর সাতগাছিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্বিতীয়বার এই নীল কোটিং দেওয়া রাস্তা বানানো হল। তাঁর কথায়, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পূর্ব বর্ধমানের এই কৃতিত্ব আগামী দিনে গোটা রাজ্যের কাছে এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে।
রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বললেন, ‘এখানে এক সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থের সুনির্দিষ্ট আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যবহারের জন্য এই পদক্ষেপ সরকার করেছে। প্লাস্টিক দিয়ে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে সুন্দর ঝকঝকে রাস্তা তৈরি হয়েছে। গ্রামে এটা খুব দরকার। স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য এই কর্মসূচি খুবই প্রশংসাযোগ্য।’