‘বেছে বেছে বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করল সিবিআই, তৃণমূল বাদ!’ জামালপুরে বিতর্ক
CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)-র ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। রবিবার হাওড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলেগুলিতে যায় সিবিআই টিম।
পূর্ব বর্ধমান: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)-র ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। রবিবার হাওড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলেগুলিতে যায় সিবিআই টিম। এদিন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হওয়া কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করল সিবিআই-র একটি প্রতিনিধি দল। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ শোনা এবং তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেখা হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও পরিবারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই জেলায় জেলায় রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ ওঠে। গত ২ মে ভোটের ফল বেরোয়। আর নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরদিনই, ৩ মে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারা যান কাকলি ক্ষেত্রপাল নামে এক মহিলা। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর ছেলে বিজেপি করতেন, এই ‘অপরাধে’ কাকলি দেবীকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে মৃত্যু হয় জামালপুরের নবগ্রামের ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা ওই মহিলার।
রবিবার সিবিআইয়ের চার সদস্যের টিম ওই এলাকায় যায়। তারা মৃত কাকলি ক্ষেত্রপালের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি নবগ্রামের বাসিন্দা মামনি ক্ষেত্রপালের বাড়িতেও যায় সিবিআইয়ের টিম। কাকলি ক্ষেত্রপালের মৃত্যুর পর মামনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। মৃত কাকলী ক্ষেত্রপালের মাথায় টাঙ্গির কোপ মারা হয়। জখম হন তাঁর বাবা অনিল ক্ষেত্রপালও। পরিবারের দাবি কাকলি তো মারা গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরাও যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তার যেন বিচার হয়। প্রকৃত দোষীরা এখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করেন মৃতের পরিবার পরিজনেরা। বাড়ির এক সদস্য জানান, তাঁরা আশাবাদী যে এবার সুবিচার মিলবে।
এদিকে সিবিআইয়ের টিম মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গেলেও ভোট পরবর্তী হিংসায় মারা যাওয়া ওই এলাকারই বাকি দুই মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে না যাওয়ায় বির্তক তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর গত ৩ মে বিজেপি কর্মী কাকলি ক্ষেত্রপালের পাশাপাশি শাজাহান শাহ ও বিভাস বাগ নামে দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয় রাজনৈতিক সংঘর্ষে। কেন তাঁদের বাড়িতে যাওয়া হল না, দেখা হল না সেই পরিবারের কোনও অভিযোগ আছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জেলার তৃণমূল শিবির। এক তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, ‘বেছে বেছে বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করছে সিবিআই, যেন তৃণমূলের কেউ মারা যায়নি!
এদিন বীরভূম, হাওড়া এবং পূর্ব বর্ধমানে যায় সিবিআই টিম। তিন জেলার ভোট পরবর্তী হিংসায় আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট সংগ্রহ করে সিবিআই-র বিভিন্ন টিম। সুবিচারের আশ্বাস দেওয়া হয় প্রত্যেককে। আরও পড়ুন: ‘টাকা দিয়ে কেস মেটাতে বলেছে পুলিশ,’ সিবিআই অফিসারের পা জড়িয়ে বিচার চাইলেন বিজেপি কর্মীর মা