Bardhaman Country Liquor: বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ার পর আরও সক্রিয় প্রশাসন, রাতেও শহর জুড়ে চলল তল্লাশি

Country Liquor: জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিকরা এবং বর্ধমান থানার যৌথ উদ্যোগে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকা জুড়ে এই তল্লাশি অভিযান চালান। আবগারি দফতরের পাঁচটি সার্কেলের আধিকারিক ও কর্মীরা এই অভিযানে নামেন।

Bardhaman Country Liquor: বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ার পর আরও সক্রিয় প্রশাসন, রাতেও শহর জুড়ে চলল তল্লাশি
রাতেও চলল তল্লাশি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2022 | 6:39 AM

বর্ধমান : বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ার ঘটনায় একের পর এক মৃত্যু। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে এবার আরও সক্রিয় জেলা প্রশাসন।  শনিবার দিনভর তল্লাশি চলেছে শহরজুড়ে। তারপর রাতেও একইভাবে তল্লাশি জারি বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। শনিবার রাতে বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর মাঠ, গুড-শেড রোড, মেহেদীবাগান, গোলাপবাগ সহ একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিকরা এবং বর্ধমান থানার যৌথ উদ্যোগে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকা জুড়ে এই তল্লাশি অভিযান চালান। আবগারি দফতরের পাঁচটি সার্কেলের আধিকারিক ও কর্মীরা এই অভিযানে নামেন।

বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। লক্ষ্মীপুর মাঠ থেকে একজনকে আটক করা হয় এবং অন্য জনকে গুড-শেড রোড এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। আগামী দিনে এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন আবগারি দফতরের আধিকারিক এনায়েত রব্বি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতেই বর্ধমান শহরে মদে বিষক্রিয়ার জেরে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর শুক্রবার সকাল হতে না হতে, সেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয় চার। ওইদিনই পরে আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। যদিও জেলার আবগারি দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা চার। তবে মদ খাওয়ার কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে কি না, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন জেলার আবগারি বিভাগ। ঘটনার পর টনক নড়ে জেলা প্রশাসনেরও। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শুক্রবার এবং শনিবার বর্ধমান শহরের সব মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ ব্যাচের মদের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। ওই রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই ঠিক হবে আগামীর সিদ্ধান্ত।

আবগারি দফতরের থেকে ইতিমধ্যেই প্রাথমিকভাবে যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল, সেখানে কোনও গন্ডগোল নেই বলেই জানিয়েছেন আবগারি দফতরের ওই আধিকারিক। এরপর রাজ্যের সরকারি ল্যাবরেটরিতেও নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে সেই রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি আবগারি দফতরের আধিকারিকরা।