Guskhara Accident: সিভিক পুলিশের তোলার টাকা থেকে বাঁচতে বেপরোয়া ট্রাক, পিষে দিয়ে সেকেন্ডেই শেষ করল যুবককে
Purba Bardhaman: মঙ্গলবারের ঘটনা। মৃতের নাম শেখ সাহেব (২২)। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা ইঁটচাদা এলাকার বাসিন্দা তিনি।
গুসকরা: ফের অকালে চলে গেল আরও একটি তরতাজা প্রাণ। গতির বলি হলেন আরও এক যুবক। বাইকে চড়ে জাতীয় সড়কে দিয়ে যাতায়াতের সময়ই মৃত্যু হয় তাঁর। একটি লরি এসে পিষে দিয়ে চলে যায় ছেলেটিকে।
মঙ্গলবারের ঘটনা। মৃতের নাম শেখ সাহেব (২২)। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা ইঁটচাদা এলাকার বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, গুসকরা বাজার আসার পথে বিপরীত দিক থেকে একটি বালিবোঝাই লরি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পিষে দেয়। তারপর লরিটি একটি কাঠচেরাই কলের কাছে আটকে যায়। যদিও, চালক সঙ্গে-সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল বলে খবর।
এরপরই শুরু হয় পথ অবরোধ। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, নিত্যদিন এমন দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় বহু মানুষকে। জাতীয় সড়ক দিয়ে বেপরোয়া ভাবে চলে বড়-বড় লরি। কারণ, প্রায়শই সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ এই রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে তোলা তোলে। এবার যাঁরা টাকা দেন না তাঁদের গাড়ি ধাওয়া করে পুলিশ। পুলিশের থেকে বাঁচতে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালান তাঁরা। তখনই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “সিভিক পুলিশ টাকা তোলে। বারবার টাকা তোলে ওরা। আর তার ফলেই এমন দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় রোজ। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিগুলো চলে আর ছোট গাড়িগুলোকে মেরে দেয়। গাড়িগুলোতে ব্রেক থাকে না। বেপরোয়া ভাবে গাড়িগুলো চালায়। এইভাবে চলতে পারে না। আমাদের দাবি এই রোডে যা গাড়ি চলবে সব চেক করা হবে। নয়ত গাড়ি চলাতে দেব না।”
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী একই অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “আগে-পিছে না দেখেই গাড়ি চলছে দ্রুত গতিতে। ব্রেক ফেল হয়ে যাচ্ছে. তার উপর আবার সিভিক ভলান্টিয়ার টাকা তোলে। তাদের থেকে বাঁচতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো হয়। কত লোকের প্রাণ চলে যায়। আমাদের দাবি এর একটা বিহিত করতে হবে।”