Bardhaman: কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি, চরম ক্ষতির মুখে ধানচাষ, কপালে হাত কৃষকদের
Bardhaman: বিগত কয়েক বছর ক্ষতির পর এই বছর বোরো চাষে দানের ফলন দেখে মুখে হাসি ফুটেছিল কৃষকদের মুখে। পূর্ব বর্ধমানের গলসি সহ জেলার বিভিন্ন কৃষকরা ভেবেছিলেন এবার অন্তত লাভের মুখ দেখতে পাবেন তাঁরা।
বর্ধমান: ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। কালবৈশাখী ও লাগাতার বৃষ্টির জেরে পরিবেশ ঠান্ডা হয়েছে। তবে একটানা ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত শস্যগোলা। বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে,’পাকা ধানে মই’! এখন যেন সেই অবস্থাই হয়েছে বর্ধমানের কৃষকদের।
বিগত কয়েক বছর ক্ষতির পর এই বছর বোরো চাষে দানের ফলন দেখে মুখে হাসি ফুটেছিল কৃষকদের মুখে। পূর্ব বর্ধমানের গলসি সহ জেলার বিভিন্ন কৃষকরা ভেবেছিলেন এবার অন্তত লাভের মুখ দেখতে পাবেন তাঁরা। তবে দু’দিন আগে আচমকা ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জমিতেই ঝড়ে গিয়েছে পাকা ধান। ফলে হতাশ তাঁরা।
শিলাবৃষ্টির ফলে গলসির হরিপুর,রামপুর গলিগ্রাম ও ইরকোনা মৌজার অধিকাংশ চাষি সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছে। মাঠেই ঝড়ে গিয়েছে পাকা ধান। জমিতে দাঁড়িয়ে আছে জল। এই অবস্থায় একদিকে ব্যাঙ্কের লোন ও মহাজনের ঋণ দু’য়ের জাঁতাকলে পড়েছেন কৃষকরা। ফলে কী করবেন ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না এলাকার চাষিরা।
ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কের ঋণ মকুব ও সরকারি সাহায্যের আবেদন করছেন চাষিরা। জমিতে জল জমে যাওয়ায় ধান কাটার মেশিন অর্থাৎ হারভেস্টার নামছে না। ফলে কৃষকরা দারুণ সঙ্কটে পড়েছেন।
এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “সরকারি বিমা তো আছে। পাশাপাশি সরকার সারাবছরই কৃষকদের পাশে থাকে। সুতরাং কৃষকরা সমস্যায় পড়লে সরকার সরাসরি পাশে আছে।”