Kali Puja 2023: ‘আমরা মুসলিম, তাও কালীপুজোয় ফুল তুলি’, বলছেন কাকলি বিবি-মেহেন্দি খাতুনরা
Kali Puja 2023: কথিত আছে আনুমানিক প্রায় ১৩৯ বছর আগে সদানন্দ কালীর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের কালনার ডাঙাপাড়া ভর্তি ছিল বন জঙ্গলে। সেই সময় সদানন্দ সাধক নামে প্রসিদ্ধ এক সন্ন্যাসী জঙ্গলের মধ্যেই কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
কালনা: মেহেন্দি খাতুন থেকে কাকলি বিবি, এখন সবাই ব্যস্ত কালীপুজোর তোড়জোড় নিয়ে। কারণ এই সদানন্দ কালী পুজোতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আরাধনা করেন। দূর দুরান্ত থেকে এসে ধর্মের বেড়াজাল পেরিয়ে এই পুজো এক সুতোয় বাঁধে মানুষজনকে।
কথিত আছে আনুমানিক প্রায় ১৩৯ বছর আগে সদানন্দ কালীর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের কালনার ডাঙাপাড়া ভর্তি ছিল বন জঙ্গলে। সেই সময় সদানন্দ সাধক নামে প্রসিদ্ধ এক সন্ন্যাসী জঙ্গলের মধ্যেই কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এলাকাবাসীর দাবি, মায়ের করুণা মিলত সকলের উপর। পরবর্তীতে ওই সিদ্ধ পুরুষের নাম অনুযায়ী সদানন্দ কালী হিসাবে পরিচিত পায়।
বর্তমানে বন জঙ্গল নেই এই এলাকায়। তবে বর্তমান মাতৃ মন্দির। জানা গিয়েছে, রীতিনীতি মেনে পুজোর দিন হিন্দু মুসলিম সকলে মিলে পুজোর আয়েজন করেন। বাৎসরিক পুজোয় দুই ধর্মের নারী পুরুষ মেতে ওঠে উৎসবের আনন্দে। শাক্ত মতে চলে পুজো। চণ্ডী পাঠ ও আমিষ সহযোগে মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়।
মেহেন্দি খাতুন বলেন, “আমরা মুসলিম তাও কোনও ভেদাভেদ নেই। পুজোর ফুল তুলি। জোগাড় করি। সব করি। সব অনুষ্ঠানে সামিল হই।” কাকলী বিবি বলেন, “কালী পুজোর সময় আমরা সবাই আনন্দ করি। পুজোর প্রসাদ খাই। মাকে দেখে আসি। এই পুজো হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে হয়।”